দখিনের সময় ডেস্ক:
নির্বাচনে সরকার সহযোগিতা না করলে দেশের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে মনে করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সাষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি চাইলে তিনি পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন সিইসি।
আজ রোববার(১৭ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের প্রথম দিনে তিনি এসব কথা জানান। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের প্রথম দিনে, রোববার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন সিইসি। এনডিএমের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন সরকার এলে প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করবেন না বলে জানান সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যদি তার শর্ত হয়, নতুন নির্বাচন কমিশন অনেক যোগ্যতর লোকদের আনা হবে, সেটা আমাকে কিন্তু আহ্বান করতে হবে না। আমি চাই সম্প্রীতি, রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা, ঐকমত্য এবং সুন্দর একটা নির্বাচন আমাদেরকে দিয়ে না, যে কাউকে দিয়ে হবে। যে কাউকে দিয়ে করানোর জন্য যদি আমাকে এই পদ থেকে সরে যেতে হয়, এ জন্যে আমাকে রিকোয়েস্ট করতে হবে না। রিকোয়েস্ট করার আগেই চলে যেতে পারব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা, ঐকমত্য খুবই দরকার। আমরা কালকেও দেখছি-একটা বড় ঐকমত্য একদিকে; আরেকদিকে সরকার। আমরা খুব বেদনাহত হই বক্তব্যগুলো যখন সাংঘর্ষিক হয়। আমরা চাচ্ছি বক্তব্যগুলো মিউচুয়ালি একোমোডেটেড হোক এবং সমঝোতার দিকে এগিয়ে যাক, যাতে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়।
সিইসি বলেন, ইতিপূর্বে আমরা বহুবার বলেছি, যেসব রাজনৈতিক দল বিশেষত প্রধানতম দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়া খুবই প্রয়োজন। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই বাধ্য করতে পারব না। তবে সব দলকে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে আমরা বারবার আহ্বান করে যাব। সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।