দখিনের সময় ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ আসামির পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় ডা. সাবরিনাসহ আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথ কেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় ওই বছরের ১২ জুলাই দুজনকেই গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা
বললেন সাবরিনা
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, একটা কথাই বলবো, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। একদিন মানুষ জানবে সাবরিনা নিরপরাধ ছিল। আমি (কারাগার থেকে) বের হব কি না, বড় কথা না। বড় কথা হলো দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী। সাবরিনা বলেন, ‘আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে এখানে (কারাগারে) ঢোকানো হয়েছে।