Home শীর্ষ খবর শস্য রপ্তানিতে রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি সই, দুর্ভিক্ষ থেকে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বাঁচবে

শস্য রপ্তানিতে রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি সই, দুর্ভিক্ষ থেকে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বাঁচবে

দখিনের সময় ডেস্ক:

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের উপস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য রপ্তানি চুক্তি সই হয়। কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি ফের চালু করতে চুক্তি করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই চুক্তি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া থেকে বাঁচাবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

শুক্রবার ইস্তাম্বুলে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বহুল প্রত্যাশিত এই চুক্তি সই হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে শস্য সরবরাহে সাম্প্রতিক সংকট কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি আগস্টের মাঝামাঝিতে পুনরায় শুরু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করছেন কূটনীতিকরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে এ অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং ইউক্রেনের অবকাঠামোমন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুব্রাকভ পৃথকভাবে জাতিসংঘ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে একই নথিতে তারা স্বাক্ষর করবে না। ফলে চুক্তিতে দুটি দেশ পৃথকভাবে স্বাক্ষর করে। ইউক্রেন বলেছে, তারা শস্য রপ্তানির বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি করেনি, করেছে জাতিসংঘের সঙ্গে। তারা আরও জানিয়েছে, চুক্তির অন্যতম শর্ত হলো, জাহাজগুলোতে যখন তল্লাশি চালানো হবে, সেটি যেন তুরস্কের জলসীমায় হয়।

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চুক্তির পর জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আজ কৃষ্ণ সাগরে একটি আশার আলো, সম্ভাবনার আলো দেখা যাচ্ছে। এর ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কিছুটা স্বস্তি আসবে।

জাতিসংঘের ধারণা, যুদ্ধের কারণে বিশ্বের আরও ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ চরম অনাহারের মুখে রয়েছে। যুদ্ধরত দুই দেশকে চুক্তিতে রাজি করাতে সহযোগিতায় করায় তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান গুতেরেস। তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপে আঙ্কারার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘ প্রধান জানান, এই চুক্তি ইউক্রেনের তিনটি প্রধান বন্দর- ওডেসা, চেরনোমর্স্ক এবং ইউঝনি দিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানির দুয়ার খুলে দিয়েছে। চুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ একটি সমন্বয় কেন্দ্র খুলবে বলেও জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক: জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করব।...

শেষ মুহূর্তে আটকে গেল এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া

দখিনের সময় ডেস্ক: সরকারি শিক্ষকদের মতো বেসরকারি শিক্ষকরাও বদলি হতে পারবেন এমন উদ্যোগ নিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে...

গভীর গুহায় মৃদু আলো

সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমন তার প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ তুলে ধরে নিজের নির্বাচনি এলাকায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাষ্ট্রব্যবস্থার গভীরে কালো গুহায় মৃদু আলো ফেলেছে বলে...

২৩ বছর পর রাজনী‌তিতে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন আবুল হাসান চৌধুরী

দখিনের সময় ডেস্ক: রাজনী‌তি‌তে ফেরার ইঙ্গিত দি‌য়ে‌ছেন সা‌বেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার। শ‌নিবার (৪ মে) সন্ধ‌্যায় মধুপুর পৌরসভার কাঁঠালতলা এলাকায় উপ‌জেলা প‌রিষদ নির্বাচ‌নের...

Recent Comments