দেশের খাদ্য বিভাগে নানান ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনেক পুরোনো। কারা কারো মতে, সনাতনী সেই ধারা থেকে অনেকটাই উঠে এসেছে দেশের খাদ্য বিভাগ। কিন্তু বরিশালের খাদ্য বিভাগ এখনো চলছে সনাতনী দুর্নীতি-অনিয়মের ধারায়ই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতি জগদ্দল পাথরের মতো জেকে বসেছে বরিশাল খাদ্য বিভাগে।
বরিশাল খাদ্য বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, খাদ্য গুদামে ধান জমা দেবার সময় নানান উছিলায় কৃষকদের ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। আবার গুদাম থেকে গ্রহণের সময়ও বকশিশের নামে দিতে হয় ঘুষ। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজিত কুমার রায়। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতাম। সুজিত কুমার রায় আরো বলেন, কৃষকরা যখন ধান দেন তখন মাঝে মধ্যে আমি গুদামে ঢুকি। কিন্তু এ ধরনের অনিয়ম আমার নজরে আসেনি।
প্রায় একই রকমের বক্তব্য দিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জি এম শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষকদের জিম্মি করে ঘুষ আদায়ের কোন সুযাগ নেই। তিনি জানান, এ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে, এবার বোরো মওসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭১৯ মেট্রিক টন। এজন্য মাইকিং করা হয়েছে, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ধান সংগ্রহ করা গেছে মাত্র ১৫৪ মেট্রিক টন। ধান নিয়ে কৃষকরা কোন চাপ অনুভব করেনি বলে জানান বরিশাল সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জি এম শফিকুল ইসলাম।
বরিশাল খাদ্য অঞ্চলের বর্তমান প্রধান (আরসি ফুড) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধেও আছে নানান অভিযোগ। তবে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বুধবার (৩ আগস্ট) তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেকে দায়িত্ব পালনকারি প্রধান সহকারী মো: মিজানুর রহমান জানান, ‘আরসি ফুড স্যার ব্যাক পেইন নিয়ে শয্যাশায়ী আছেন।’ এ সময় গায়ে পড়ে অসৌজন্য আচরণ করেন মো: মিজানুর রহমান। এদিকে আজ শনিবার(৬আগস্ট) টেলিফোনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হলে আরসি ফুড জাহাঙ্গীর আলম কল রিসিভ করেননি। এরপর তাঁকে এসএমএস করা হয়। কিন্তু তিনি কোন রেসপন্স করেননি।
বরিশাল খাদ্য অঞ্চলের সামরিক অচলবস্থা প্রসেঙ্গে অপর একটি সূত্র বলছে, বরিশাল খাদ্য বিভাগের অভ্যন্তরে রয়েছে শক্তিশালী একটি চক্র। এই চক্রের প্রভাব এতোটাই প্রবল যে, এদের কথা মতো না চললেই নানান রকম জটিলতা তৈরী করা হয়। এই চক্রের হাত অনেক লম্বা।
জানাগেছে, বরিশাল সদরে ৫টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। এর সাধারণ ধারণক্ষমতা ২৫ শ’ মেট্রিক টন। বর্তমানে মজুত আছে ৩ হাজার মেট্রিক টন। উল্লেখ্য, বিশেষ অবস্থায় ঘোষিত ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত দেড় হাজার মেট্রিক টন খাদ্য রাখার সক্ষমতা আছে বরিশার খাদ্য গুদামের।
দখিনের সময় ডেস্ক:
নতুন করে তিন দিনের হিল অ্যালার্ট জারি হলেও চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি...
কলামের শিরোনাম দেখে যে কারও মনে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে দুটি প্রধান। এক. যেখানে সরকারি দফাদারকেও ‘স্যার’ বলার অঘোষিত বাধ্যবাধকতা দাঁড়িয়ে...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের...
দখিনের সময় ডেস্ক:
নতুন করে তিন দিনের হিল অ্যালার্ট জারি হলেও চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি...
কলামের শিরোনাম দেখে যে কারও মনে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে দুটি প্রধান। এক. যেখানে সরকারি দফাদারকেও ‘স্যার’ বলার অঘোষিত বাধ্যবাধকতা দাঁড়িয়ে...