দখিনের সময় ডেস্ক:
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আলোচিত জজ মিয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(১১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবীর পল্লব এ নোটিশ পাঠান।
স্বরাষ্ট্র সচিবসহ আরও যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন- ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন।
নোটিশে ওই ঘটনার জন্য জড়িত ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের কাছে ওই ক্ষতিপূরণ আদায় করে জজ মিয়াকে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লুৎফুজ্জামান বাবরসহ জড়িত ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আইনগত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় ‘জজ মিয়া’ নামের ওই যুবককে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেয় সিআইডি।
২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন- শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।
পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। জজ মিয়া দাবি করেন, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার জবানবন্দি আদায় করা হয়। এরপর অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। পাঁচ বছর তিনি কারাগারেই ছিলেন।