দখিনের সময় ডেস্ক:
কয়েকদিনের মধ্যে ফারজানার স্বামীর দেশে ফেরার কথা। প্রবাসে থাকাকালীন স্বামী তাকে টাকা পাঠালেও তিনি হিসাবে গড়মিল করেছেন। স্বামী বাড়ি ফিরলে সেই টাকা ফেরত চাইবেন এই আশঙ্কায় ৩ লাখ টাকা নিজের কাছে রাখার পরিকল্পনা করেন ফারজানা। সেজন্য মেয়ে ও মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে অপহরণ নাটক সাজানো হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করতে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে লুকিয়ে রেখে ‘অপহরণ নাটক’ সাজিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্ত্রী। বুধবার(১০আগস্ট) উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ইরাক প্রবাসী উকিল আহমেদের স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২) ও তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রবাসী উকিল আহমেদের স্ত্রী ফারজানা বেগম বুধবার বিকেলে গাবতলী থানায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেন। এ সময় বলা হয়, স্থানীয় সার্ক মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মঞ্জিলা খাতুনকে স্কুল ছুটির পর অপহরণ করা হয়। এছাড়াও অপহরণকারীরা তার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ পেয়ে গাবতলী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখতে পায়, মঞ্জিলা স্কুল থেকে বেরিয়ে উল্টো পথে যাচ্ছে এবং বোরকা পরিহিত এক নারী তার পেছনে আছেন। পরে একটি অটোরিকশায় তাদের উঠতে দেখা যায়। ফুটেজ দেখে সেই অটোরিকশা শনাক্ত করে পুলিশ তার চালককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এরপর জানা যায়, বোরকা পরিহিত ওই নারী মঞ্জিলার মা ফারজানা নিজেই। তিনি মেয়েকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি বাজারে যান। সেখানে মঞ্জিলার নানী নাজমা বেগম অপেক্ষা করছিলেন। সেখান থেকে মঞ্জিলাকে শেরপুর উপজেলার উলিপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসা হয়। এ নিয়ে সন্দেহ হলে অভিযোগকারী ফারজানাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফারজানা ও তার মা নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্কুলছাত্রী মঞ্জিলা থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।