Home শীর্ষ খবর প্রাইভেটকারে গার্ডার, হত্যা মামলা দায়ের

প্রাইভেটকারে গার্ডার, হত্যা মামলা দায়ের

দখিনের সময় ডেস্ক:

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের একটি গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন জানান, উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত দুই বোনের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ক্রেনের চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি) ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িত দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

মামলার বাদী আফরান মন্ডল বাবু বলেন, সোমবার(১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর জসিমউদ্দীন সড়কের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে তার দুই বোনসহ স্বজনদের বহনকারী প্রাইভেটকারের ওপর বিআরটি প্রকল্পের একটি বক্স গার্ডার পড়ে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তার ভাগনি রিয়া মণি (১৯) ও তার স্বামী রেজাউল করিম হৃদয়কে (২৬) প্রাইভেটকার থেকে বের করা গেলেও আর পাঁচজনকে বের করা সম্ভব হয়নি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে একটি চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসি কাজ করছে। এই কাজের অংশ হিসেবে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী রাস্তায় বক্সগার্ডার একটি ক্রেনের সাহায্যে লোবেট ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল।

প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে সড়কে যান চলাচলের সময় ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করা হচ্ছিল। তার স্বজনদের বহনকারী গাড়িটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বক্স গার্ডার গাড়িটির চালকের আসনসহ পেছনের আসনের অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে আছড়ে পড়ে। ফলে ঘটনাস্থলেই গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হন।

আসামিদের অবহেলার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ক্রেনের চালক, সিজিসিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার অনুসারে নিহতদের মধ্যে চালকের আসনে ছিলেন বেঁচে যাওয়া হৃদয়ের বাবা আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫)। পেছনে বসেছিলেন হৃদয়ের শাশুড়ি ও রিয়ার মা ফাহিমা আক্তার (৩৮), ফাহিমার বোন ঝর্না আক্তার (২৭), ঝর্না আক্তারের দুই শিশু সন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি হার্টের জন্য ভালো?

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিমকে সবচেয়ে উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি যুগ যুগ ধরে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত রয়েছে। ডিম...

মানবাধিকার কর্মী মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন

দখিনের সময় ডেস্ক: বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কঠিন...

পঞ্চগড়ে চা খামারিদের ক্ষমতায়নে ইউসিবির কর্মশালা

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলার চা খামারিদের জন্য একটি কর্মশালা আয়োজন করেছে। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক...

সন্তানের অত্যাচারে শতবর্ষী বৃদ্ধের আত্মহত্যা

দখিনের সময় ডেস্ক: সৈয়দ আলী আকনে (১০৪) নামের এক শতবর্ষী বৃদ্ধের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিষপানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সৈয়দ আলী পিরোজপুরের ইন্দুরকানী...

Recent Comments