দখিনের সময় ডেস্ক:
বৃহস্পতিবারের নারায়ণগঞ্জে শাওনের মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয় নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর র্যালিটি পুলিশি বাধার মুখে যখন পণ্ড হয়ে যায় তখন দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় শাওনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নেতা সাদেক হোসেনের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায়। পরে শাওনকে রাস্তায় ইট ভাঙতে এবং তা পুলিশের দিকে নিক্ষেপ করতে দেখা গেলেও পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন সাদেক। একটু পর পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়া শুরু করলে শাওন-সাদেককে পিছু হটতে দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা সাদেক বলেছিলেন, বিএনপির র্যালিতে যোগ দিতে শাওন তার সঙ্গে বাড়ি থেকে একসঙ্গেই বের হন। তিনি র্যালিতে সাদেকের সঙ্গে ছিলেন। দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শাওনের চাচা আওয়ামী লীগ নেতা। নিহত শাওন বিএনপির কর্মী নাকি পথচারী সেটি নিয়ে তদন্তের কথা জানান তিনি। তবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রথম থেকেই শাওনকে নিজেদের সক্রিয় কর্মী দাবি করে আসছিলেন।
অপরদিকে শাওনের মা ফরিদা বেগম গতকাল রাতে বলেন, শাওন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সকালে কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিল। পরে তারা জানতে পারেন পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হয় শাওন।