Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি গ্রাহকের দুই কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক লাপাত্তা

গ্রাহকের দুই কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক লাপাত্তা

দখিনের সময় ডেস্ক:

গ্রাহকদের আমানতের দুই কোটি টাকা লাপাত্তা হয়েছেন আবদুস সাত্তার নামের আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এগারো গ্রাম বাজার শাখার ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। আবদুস সাত্তার দেবিদ্বার উপজেলার মুগসাইর গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার(৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যম কর্মীরা অভিযুক্ত সাত্তার মিয়ার বাড়ি গেলে তার ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। এ সময় সাত্তারের প্রতিবেশিরা জানায়, কিছুদিন আগে কাউকে না বলে ছেলে মেয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাত্তার। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তার বাড়িতে লোকজন এসে তাকে খোঁজ করে।

মোগসাইর গ্রামের ভুক্তভোগী আবদুল কাদির ও তাজুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত সাত্তার মিয়া আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড নামের একটি এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার ছিলেন। তিনি গ্রামের মানুষদের আর্থিক সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ, ফিক্সড ডিপোজিট ও ডিপিএসের নামে টাকা সংগ্রহ করতেন। এভাবে দুই বছর গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে তার ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে বাড়ি এসে দেখি ঘরে তালা। সে তার পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।

গ্রামের স্থানীয় লোকজন জানান, সাত্তার আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডকে এলাকায় ব্যাংক হিসেবে পরিচয় দিত। সাইনবোর্ডে ব্যাংক শব্দটি উল্লেখ আছে। এটি প্রথমে জাফরগঞ্জ বাজার শাখা হিসেবে পরিচালিত হতো। পরে ওই শাখাটি এগার গ্রাম বাজারে স্থানান্তর করে নিয়ে আসে সাত্তার। গ্রাহকদের রসিদেও এগার গ্রাম বাজার শাখা হিসেবে সিল মারা হয়েছে। বর্তমানে সেটির মালিক সাত্তার পালিয়ে গেছে। তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুগসাইর গ্রামের তাজুল ইসলাম বলেন, পেনশনের দুই লাখ টাকা বিশ্বাস করে জমা রেখেছিলাম সাত্তারের কাছে। এভাবে প্রতারিত হবো আমি বুঝতে পারিনি।

এগার গ্রাম বাজারে ফার্মেসি ব্যবসায়ী আবদুল কাদির বলেন, দুই নামে দশ লাখ টাকা জমা রেখেছি তার কাছে। আমি ছাড়াও গ্রামের সহজ-সরল মানুষ বিশ্বাস করে তার কাছে টাকা জমা রেখেছে। এখন মানুষকে নিঃস্ব করে সাত্তার পালিয়ে গেছে।

দেবিদ্বার উপজেলা সমবায় অফিসার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের সরকারিভাবে কোনো নিবন্ধন নেই। তারা অনেকদিন ধরে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। সমবায় বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এগারো গ্রাম থেকে ১৫ জন গ্রাহক আমার কাছে এসেছেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি। তার অফিস ও বাড়ি তালা দেখতে পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনও ও জেলা সমবায় অফিসে জমা দিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল

দখিনের সময় ডেস্ক: এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমেরিকান-ইহুদি কিশোর (১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী) 'আমি হামাসের সাথে সহানুভূতিসম্পন্ন'- এমন বক্তব্যের সাথে একমত। ইসরাইলের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে...

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকার

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতিদিন কলা খেলে মেলে অনেক উপকার। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন। যে কারণে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি...

মোহিনীর প্রেমের এআর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বলছেন পুত্র

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে এআর রহমান। সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যের অবসান। বুধবার রাতে রহমানের স্ত্রী সায়রার আইনজীবী এই খবর...

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

Recent Comments