দখিনের সময় ডেস্ক:
সালমান এফ রহমান ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য একটা বিশাল বাজার হয়ে উঠবে। বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রসঙ্গে সালমান রহমান বলেন, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানও। সফরের ফাঁকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন তিনি।সালমান এফ রহমান বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা যখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে, তখন শুধু বাংলাদেশের বাজারের দিকে তাকানো উচিত নয়। তাদের উচিত এটিকে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাথে একত্রিত করা। এর কারণ হলো, আমরা এখন যোগাযোগের পাশাপাশি সড়ক, রেল ও নৌপথে কানেক্টিভিটির বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ এবং সম্ভাব্য ‘ঋণের ফাঁদ’ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সালমান রহমান বলেন, বৈদেশিক ঋণের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর এটিই বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পগুলোর মধ্যে একটি। তার ভাষায়, একইভাবে, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক ঋণও ন্যূনতম। আমাদের সব ঋণই দ্বিপাক্ষিক ঋণ, যা রেয়াতি (স্বাভাবিকের তুলনায় ছাড়কৃত) হারে নেওয়া। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল- ওই দেশটির সরকার বিপুল পরিমাণ বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েছিল। আমরা তা করিনি। এমনকি আমাদের কোনো সার্বভৌম বন্ডও নেই।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা বলতে গিয়ে সালমান রহমান বলেন, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর (এ বিষয়ে) উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক হলো- তারা আমাদের কিছু প্রকল্পের জন্য রেয়াতি ঋণ দিয়েছে এবং আমরা সেগুলোকে প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করেছি। উদাহরণ স্বরূপ, অনেকে বিশ্বাস করে পদ্মাসেতু হয়তো চীনা সরকারের একটি প্রকল্প। কিন্তু এটি সত্য নয়। এটি (পদ্মাসেতু) সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের অর্থায়নে এবং আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে একটি চীনা কোম্পানির মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে। এটি বাণিজ্যিক বিষয়। তার মানে এই নয় যে, আমরা এই ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। তবে কিছু অবকাঠামো প্রকল্প রয়েছে যেখানে চীন অর্থায়ন করেছে।