দখিনের সময় ডেস্ক:
অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর ঘাড়ে স্ক্রু না লাগিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের ইয়েলো ইউনিটের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. পীযূষ কান্তি মিত্রের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগী মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শেখ আজিজুল হাকিম ৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) ঢামেক পরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে আজিজুল হাকিম চিঠিতে উল্লেখ করেন, আমার বাবা দেলোয়ার হোসেন, বয়স (৫৫)। আমার বাবা অত্র হাসপাতালে চলতি বছরের জুলাই মাসের ৭ তারিখ থেকে চিকিৎসাধীন। পরে আগস্ট মাসের ৩ তারিখ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত নিউরোসার্জারি বিভাগের ইয়েলো ইউনিটের কেবিন নাম্বার ৬৬(এ) তে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
‘আমার বাবার ঘাড়ের অপারেশনের জন্য স্ক্রু লাগবে বলে আমাকে জানানো হয় ৩৫ হাজার টাকা লাগবে। গত আগস্ট মাসের ১৭ তারিখে অপারেশনের পরে আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হয় এবং মনির সার্জিক্যালের একটি মানি রিসিট দেওয়া হয়। পরে এক্সরে করে দেখা যায় ঘাড়ে কোনো স্ক্রু লাগানো হয়নি। এ অবস্থায় আমার আকুল আবেদন এই যে, ‘আমার বাবার ঘাড়ে স্ক্রু না লাগিয়েও যে টাকা আদায় হয়েছে, আমি এই দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির সার্জিক্যালের সোহেল বলেন, অপারেশনের পর পীযূষ কান্তি স্যার আমাকে ৩৫ হাজার টাকার একটি মানি রিসিট দিয়ে রোগীর ছেলের কাছ থেকে টাকা নিতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী আমি ওই রোগীর ছেলের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে তাকে একটি মানি রিসিট দেই। এরপর মেশিনের ভাড়া বাবদ ৬ হাজার টাকা রেখে ২৯ হাজার টাকা স্যারের কাছে দেই। পীযূষ স্যার বলেন আমি রোগীর ছেলেকে ২৯ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। কিন্তু তিনি ওই রোগীর ছেলেকে টাকা ফেরত দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই। সেখানে যে স্ক্রু লাগানোর কথা ছিল সেটি স্যার লাগাননি,’ বলেও জানান সোহেল।
এদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে অধ্যাপক ডা. পীযূষ কান্তি মিত্র বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। রোগীর ছেলে যে অভিযোগটি করেছেন সেই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। ভুক্তভোগীর ছেলে আপনার কথায় মনির সার্জিক্যালের এক ছেলেকে টাকা দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি টাকা নেইনি।’