Home নির্বাচিত খবর রানির  কুকুর প্রিতি, তাঁর রেখে যাওয়া চারটি কুকুরই শোকাহত

রানির  কুকুর প্রিতি, তাঁর রেখে যাওয়া চারটি কুকুরই শোকাহত

দখিনের সময় ডেস্ক

প্রচলিত আছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ টায়ারা ও হেডস্কার্ফ পরলেই তার পোষা কুকুরগুলো বুঝে যেত কোথাও যাওয়ার সময় হয়েছে। ডিউক অব ইয়র্ক একবার বলেছিলেন, পোষা কুকুরদের প্রতি ভালোবাসাই রানিকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও সামর্থ্যবান থাকতে সাহায্য করেছে। সেই তিনি যখন বৃহস্পতিবার(৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন, তখন তার রেখে যাওয়া চারটি কুকুরই ছিলো শোকাহত।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, যে চারটি পোষা কুকুর রানি রেখে গেছেন এর মধ্যে দুটি কর্গিস প্রজাতির, একটি ডর্গি প্রজাতির এবং অপরটি ক্রকার স্প্যানিয়েল প্রজাতির। কুকুরের প্রতি রানির ভালোবাসার শুরুটা হয় ১৯৩৩ সালে। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম পোষা প্রাণীটি উপহার পান তিনি। ক্যানাইন জাতের কুকুর রানী ভিক্টোরিয়ার দিন থেকে রাজপরিবারের অংশ হয়ে উঠলেও কর্গিসের প্রতিই এলিজাবেথের ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি ছিল। কাজেই বিষয়টি এমন নয় যে প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে বিয়ে হওয়া বা রানী হওয়ার পর কুকুরের প্রতি তার আবেগ বেড়ে যায়।

রানি কুকুর এত ভালবাসতেন যে ১৯৭০-এর দশকে তার বোন প্রিন্সেস মার্গারেটের সঙ্গে ‘ডরগি’ নামে হাইব্রিড জাত তৈরি করেন। তার প্রথম কুকুরের নাম ছিল দুকি, যা পরে রাজপরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। এর মাধ্যমেই কর্গিস প্রজাতির কুকুরের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল রানির।

১৯৪৪ সালে ১৮তম জন্মদিনে সুসান নামে একটি করগি জাতের কুকুর উপহার পান রানি, যা পরে তার জীবনের বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে ওঠে। সুসান রানীর রাজ্যাভিষেক, বিয়ে এবং এমনকি প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় সঙ্গে ছিল। রানী রোজাভেল লাকি স্ট্রাইক নামে একটি কুকুরের সঙ্গে সুসানকে প্রজনন করেছিলেন। ২০১৫ সালে তার শেষ কর্গিস উইলো মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুসানের বংশধরদের ১৪ প্রজন্ম রানির সঙ্গে বসবাস করে আসছিল। জানা যায়, উইলোর মৃত্যুতে রানি বিশেষ আঘাত পেয়েছিলেন, কারণ এটি সুসানের শেষ বংশধর ছিল।

তবে এ ঘটনার পর থেকে নিজের পোষা কুকুরদের প্রজনন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন রানি। তার মৃত্যুর সময় নিজের আদরের কুকুরদের রেখে না যাওয়ার জন্যই মূলত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পোষা প্রাণীর মৃত্যু যেমন মালিকের জন্য কষ্টদায়ক, মালিকের মৃত্যুতেও একইভাবে কষ্ট পায় প্রাণীরা। এ ভয় থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

২০১৩ সালে ব্রায়ান হো নামে এক লেখক তার বইতে জানান, রানির কুকুরগুলোকে প্রতিদিন রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। রানি বিভিন্ন সময়ে কুকুরগুলোকে নিজেই খাওয়াতেন। শুধু তাই নয়, কখনো কখনো তাদের খাবারের ওপর গ্রেভি ছুড়ে দিতেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে প্রিন্স ফিলিপ যখন মারা যান, তখন তিনি সান্ত্বনার জন্য তার বিশ্বস্ত সঙ্গীদের কাছে গিয়েছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বাউফলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চোখের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্মাণকাজে নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার করায় ক্ষুদ্ব প্রতিক্রিয়া...

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

Recent Comments