তিতাস গ্যাসের মতো ফ্রিস্টাইল দুর্নীতি চলে কর্ণফুলী গ্যাসেও

দখিনের সময় রিপোর্ট:

দুর্নীতির মনুমেন্ট হিসেবে তিতাস গ্যাসের চরম কুখ্যায়াতি রয়েছে। এ ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এদিকে গণমাধ্যমে তেমন খবর না আসলেও অনেকেই জানেন, তিতাস গ্রাসের ধারায়ই দুর্নীতি চলছে কর্ণফুলী গ্যাসেও। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

সূত্রমতে  কর্ণফুলী গ্যাসের কর্তাব্যক্তিরা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ডুবে আছেন। কিন্তু রহস্যজনত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কর্ণফুলী গ্যাসের এমডিসহ শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সকব কর্মকর্তাই অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো গ্যাস সংযোগ প্রদান ও বিচ্ছিন্ন করা, ইচ্ছেমতো বিল আদায়সহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

এসব অভিযোরে বিষয়ে পেট্রোবাংলার উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও কর্ণফুলী গ্যাসের  শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়ী করেছে। কিন্তু গত চার মাসেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো এ কর্মকর্তাদের এখন সুরক্ষা দেওয়ার পথ খোঁজা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র  জানিয়েছে,  বিভিন্ন সময় কেজিডিসিএলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর সেগুলো তদন্ত শুরু করে পেট্রোবাংলার উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি। কমিটি তদন্ত শেষে চার মাস আগে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পেট্রোবাংলায়। প্রতিবেদনে সরকারি কোম্পানিটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদসহ শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট ১২টি অভিযোগ উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

পরে জ্বালানি বিভাগ এক পত্রে পেট্রোবাংলার তদন্ত প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করার নির্দেশ দেয় গত ১৪ আগস্ট। কিন্তু নির্দেশ তোয়াক্কই করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আর দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা এখনো আছেন বহাল তবিয়তে।