কর্মদক্ষতায় সেরা দশে নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দখিনের সময় ডেস্ক:

সরকারের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে কর্মদক্ষতায় সেরা দশেও জায়গা করে নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মূল্যায়নের প্রকাশ করা ফলাফলে এই চিত্র দেখা গেছে। এই মূল্যায়নে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর একেবারে তলানিতে স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বা এপিএ। এই চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এপিএ করে থাকে।

বছর শেষে এই চুক্তি বাস্তবায়নের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে ছয়টি সূচকে নম্বর (স্কোর) দিয়ে ক্রমবিন্যাস করেন। সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা সনদ।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মূল্যায়নের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ৯৯ দশমিক ০৮ নম্বর পেয়ে শীর্ষ অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত বছর এই মন্ত্রণালয় অষ্টম অবস্থানে ছিল। এবার ৯৮ দশমিক ৯৩ নম্বর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় এবং ৯৮ দশমিক ৫৩ নম্বর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ৯৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে অর্থ বিভাগ চতুর্থ, ৯৭ দশমিক ৭৬ নম্বর পেয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পঞ্চম, ৯৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ষষ্ঠ, ৯৭ দশমিক ৩৮ নম্বর পেয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সপ্তম, ৯৭ দশমিক ০৯ নম্বর পেয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় অষ্টম, ৯৫ দশমিক ৭১ নম্বর পেয়ে পরিকল্পনা বিভাগ নবম এবং ৯৫ দশমিক ৫২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দশম হয়েছে।