Home শীর্ষ খবর দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ, ধারণ করেছে মহামারী আকার

দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ, ধারণ করেছে মহামারী আকার

দখিনের সময় ডেস্ক:

রাজধানীসহ সারাদেশে হঠাৎ ‘চোখ ওঠা’ বা কনজাংটিভাইটিস রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই একাধিক ব্যক্তি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগটি এক প্রকার মহামারী আকার ধারণ করেছে বলেও মনে করছেন অনেকে। এবারের সংক্রমণকারী ভাইরাস বেশ শক্তিশালী। ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সিং করলে কোন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট সেটি নিশ্চিত হওয়া যেত।

এদিকে প্রয়োজনীয় ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ কনজাংটিভাইটিস রোগের ওষুধ নিতে আসেন। এতে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে কিছু অসাধু দোকানি দাম বাড়িয়ে সংকট ঘনীভূত করছেন।

এ প্রসঙ্গে ওএসবিআই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদা রহমান বলেন, কনজাংটিভাইটিস বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এটি এত দ্রুত এবং বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে যে প্রয়োজনীয় ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। অনেকেই একিউট কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ ভাইরাল কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর আবার ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে চোখে ময়লা জমা, চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ মারাত্মক প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের রোগীদের সেরে উঠতে প্রায় ২১ দিন সময় লেগে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখের কনজাংটিভাইটিস রোগটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় তা সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ৭ থেকে ১০ দিন পর তা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। তাই কারও কনজাংটিভাইটিস হলে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা এ রোগে দ্রুত আক্রান্ত হন। রোগটি একই সময় বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন বয়সীদের মধ্যে বছরের যে কোনো সময়ই হতে পারে। তবে শীত ও গরমের মাঝামাঝি সময়ে এটি বেশি হয়ে থাকে।

রোগের লক্ষণ: চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া। চোখে ব্যথা, খচখচ করা ও অস্বস্তি অনুভূত হয়। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখ ফুলে লাল হয়ে যায় এবং চুলকায়। এমনকি চোখে আলো পড়লে অস্বস্তি লাগে।

প্রতিরোধের উপায়: অসুস্থ ব্যক্তিকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। শিশুর বা কনজাংটিভাইটিস হলে স্কুলে না পাঠানো, কর্মজীবী হলে কর্মস্থলে যাওয়া যাবে না। এতে দ্রুত পরিত্রাণ মিলবে। এড়িয়ে চলতে হবে জনবহুল স্থান। ডা. মাহমুদা বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। হাতের স্পর্শে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাই বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত হলে দ্রুত নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

পরিস্থিতি বিবেচনায় কারও যদি চোখ ওঠে বা কনজাংটিভাইটিস হয় তাকে সাত দিনের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল এমবিএ প্রোগ্রাম চালু

কাজী হাফিজ: বর্তমান বিশ্বে মাস্টার্স অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রামকে ব্যবসা এবং ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কোর্স হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা...

গাড়িতে আসার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন রনোভাই

প্রায় দুই দশক আগে এসটিভি ইউএস নামে একটি টেলিভিশন আমেরিকা থেকে সম্প্রচারিত হতো। কিন্তু কার্যক্রম পরিচালিত হতো বাংলাদেশ থেকে। এতে মুখোমুখি নামে একটি টকশো...

মাছ ধরার সময় শ্বাসনালিতে বাইন মাছ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ দেখে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় শ্বাসনালি কেটে বাইন মাছটি বের করা হয়। এরপর রোগী সুস্থ হলে ৭-৮ দিন পর তার শ্বাসনালিতে বসানো...

অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

দখিনের সময় ডেস্ক: কলেজে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শিক্ষককে পেটানো বহিষ্কৃত এ ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. সাফাতুন নুর...

Recent Comments