দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রকৃতির মায়া ছেড়ে পাখিদের লোকালয়ে এসে বন্ধুত্বের খবর বিরল। এমন বিরল ঘটনা ঘটেছে বরগুনার তালতলী উপজেলায়। মোস্তফা নামের এক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রির দোকান পাহারা দিতে দেখা যায় কয়েকটি বককে। তারা পাহারাদার হয়ে দায়িত্ব পালন করছে সকাল-সন্ধ্যা। মোস্তফা বলেন, আমি যখন দোকানে না থাকি তখন এই পাখিগুলোকে দোকানে রেখে যাই। কেউ এই পাখির ভয়ে একটা মালামাল নেওয়ারও সাহস করে না।
মালিক-শ্রমিক ছাড়া কারোরই ঢোকার উপায় নেই ভেতরে। অপরিচিত কেউ সামনে এলেই তাড়িয়ে দেয় আবার বিনা অনুমতিতে কোনো মালামালে হাত দিলে উড়ে এসে ঠোকর দেয়। যেন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছে বক। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের আপত্তির ফলে কয়েকবার বনে নিয়ে বকগুলোকে অবমুক্ত করলেও আবার উড়ে আসে এই ওয়ার্কশপে। বাচ্চা অবস্থা থেকেই এই বক পাখিগুলো বেড়ে উঠেছে মোস্তফার কাছে।
মোস্তফা জানান, মাছ কিনে নিয়মিত এই পাখিদের দিচ্ছেন তিনি। এক ঝড়- বৃষ্টিতে বাসা ভেঙে নিচে পড়ে যায় বকের ছানাগুলো। সেখান থেকে শাবকগুলো কুড়িয়ে আনেন মোস্তফা। ওয়ার্কশপের পেছনেই একটা বাসা বানিয়ে পালন করতে থাকেন। পরম যত্নে বড় করার পর বন বিভাগের পরামর্শে অবমুক্ত করা হয় পাখিগুলোকে। কিন্তু রাত নামার আগেই আবার আপন নীড়ে ফিরে আসে বকপাখিগুলো। সেই থেকেই তার কাছেই আছে পাখিগুলো। পাখিগুলোর খাবার, পানি, গোসল সব কিছুই হয় তার হাতে।
পাখি দেখতে আসা মাহতাবুর রহমান বলেন, অবাক কাণ্ড- যেই বকের ধারে যাওন যায় না, সেই বক খিদা লাগলেই মোস্তফার ধারে আইয়া খাইতে তাহে, আবার মোস্তফাও ওগো খাওয়ায়, এডা তো বিশ্বাসই করা যায় না।