পিরোজপুরে দ্বিগুণ দামে ট্যাঙ্ক স্থাপন, কেস স্টাডি-২

দখিনের সময় ডেস্ক:

কেস স্টাডি-২ : সমুদ্র উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের সবচেয়ে ছোট উপজেলা ইন্দুরকানী। আয়তন ৯৪ দশমিক ৫৯ বর্গকিলোমিটার। ৫টি ইউনিয়ন আর ৪৮টি গ্রাম আছে এই উপজেলায়। সমুদ্রের সবচেয়ে কাছে হওয়ায় লবণাক্ততা এখানকার বড় সমস্যা। সুপেয় পানির অভাব তীব্র।

২০২১-২২ অর্থবছরে ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে’র আওতায় এই উপজেলায় ৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ৩১২টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ট্যাঙ্ক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ট্যাঙ্ক স্থাপনের ঠিকাদারি পায় ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ, রহমত ট্রেডার্স ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ ট্রেডার্স। পুরো কাজ না করেই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ হস্তান্তর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র বলছে, পানির ট্যাঙ্ক স্থাপনের পুরো দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। প্রতিটি ট্যাঙ্ক স্থাপনের প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ বাবদ ১৪ হাজার টাকা নির্ধারিত থাকলেও ঠিকাদার সেটি নির্মাণ না করে প্রকৌশল বিভাগকে ১২ হাজার টাকা করে দিয়ে দেয়। এরপর প্রকৌশল বিভাগ সেটি নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সুবিধাভোগীকে দেয় মাত্র ৪ হাজার টাকা। প্রতিটি ট্যাঙ্ক স্থাপনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে ট্যাঙ্কের দাম ২২ হাজার টাকা।

রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ট্যাঙ্ক স্থাপনে মোট বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ টাকা। স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের কর্তারা নিজের পকেট ভারী করার পর প্রকল্পের মোট টাকার নাইন পার্সেন্ট অর্থাৎ প্রায় ১২ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন সাইফুর রহমানের কাছে।