দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার পর সাইফুর রহমান দরপত্র নিয়ে জাল-জালিয়াতির পাশাপাশি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকেও কাজ পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ আছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা-৩ শাখার একটি তদন্ত প্রতিবেদন তার দালিলিক প্রমাণও দিচ্ছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে। দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠান স্টার্লিং মাল্টি টেকনোলজিস লিমিটেড অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুললে ৬ জুলাই তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কমিটির তিন সদস্য হলেন—স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম, একই অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন এবং পরিকল্পনা-৩ শাখার উপসচিব ড. বেলাল উদ্দিন।
পরে সিনিয়র সহকারী সচিব (পাস-২) এ কে এম সাইফুল আলমকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়। গত ২৭ জুলাই থেকে কাজ শুরু করে তদন্ত কমিটি। গত ৪ আগস্ট জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প পরিচালক টেন্ডার দুটির জন্য কোনো টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেননি। একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার জন্য তাদের স্পেসিফিকেশন হুবহু টেন্ডারে প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী রিপোর্টে মতামত অংশে বলা হয়েছে, পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পণ্য প্যাকেজ ৫ ও ৬ দুটিকে ভেঙে চারটি প্যাকেজ করা হয়। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ১৭ (৪) ও ১৭ (৫) অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) অনুমোদিত কোনো একক কাজকে একাধিক প্যাকেজে বিভক্ত করতে হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিধি মোতাবেক তা করা হয়নি, যা গুরুতর অনিয়ম। প্রধান প্রকৌশলী এজন্য দায়ী।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দরপত্রে অ্যাপ ভ্যালু ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। পরে দরপত্র বাজেট ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা উল্লেখ করে টেকনোল্যাবকে মনোনীত করা হয়। দরপত্র দুটি পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে বলেও তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে।