দখিনের সময় ডেস্ক:
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে খোমেইন শহরে খোমেনির পৈতৃক বাড়ির একাংশ । এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
ইরানে চলমান বিক্ষোভের আগুন দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নিহতের জেরে শুরু হওয়া এই আগুন শুধু নারী অধিকার আদায়ে সীমাবদ্ধ নেই। বরং ইরানের দীর্ঘদিনের শাসনব্যবস্থাকেই উপড়ে ফেলতে চাইছে। এর অংশ হিসেবে
আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন ঘটনার পর সেখানে কিছু মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে। অধিকারকর্মীদের একটি গোষ্ঠী দাবি করেছে ভিডিওটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সময়ের। খোমেনির বাড়িতে যে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন, একাধিক সংবাদ সংস্থাও সেটা নিশ্চিত করেছে। তবে আঞ্চলিক সরকারি কর্তৃপক্ষ অগ্নিসংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
খোমেইন কাউন্টি প্রেস অফিস দাবি করেছে, সেখানে কোনো হামলা হয়নি। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম বলছে, বাড়িটির বাইরে কয়েকজন মানুষ সমবেত হন। পরে বাড়ির একটি ভিডিও পোস্ট করেন। প্রসঙ্গত, ইরানের মহান বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া আয়াতুল্লাহ খোমেনির বাড়ি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে।
আয়াতুল্লাহ খোমেনির জন্ম ওই বাড়িতে হয়েছিল। বাড়িটি এখন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে খোমেনির জীবনের নানা স্মৃতি সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে যে ইসলামি বিপ্লব হয়, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি। ওই বিপ্লবের মাধ্য দিয়েই দেশটির তৎকালীন নেতা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি ক্ষমতাচ্যুত হন। রেজা পাহলভি পশ্চিমপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা হন। ১৯৮৯ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। উল্লেখ্য, ইরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর দুই মাস ধরে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলনকারীরা বর্তমান সরকার দেশটির বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে।