দখিনের সময় ডেক্স:
রাজধানীর হাতিরঝিলে ডিভাইডারে সাথে ধাক্কা লাগার পর প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার করা নারীর মৃত্যু নয়, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক।ওই নারীর নাম ঝিলিক আলম (২৩)।গুলশানে থাকতেন তিনি । ঘটনার পর স্বামী সাকিবুল আলমকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই নারীর শরিরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
রাজধানীর হাতিরঝিলের আমবাগান নামক স্থানে ডিভাইডারে সঙ্গে গাড়ির ধাক্কার বিষয়ে স্বামী সাকিবুল আলম বলেন, বাসা থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে যাওয়ার সময় হাতিরঝিল আমবাগান এলাকায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি (সাকিবুল আলম) সামান্য আঘাত পেলেও, গাড়িতে থাকা তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাঁর স্ত্রী কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাকিবুল জানান, তাঁর স্ত্রী আগে থেকেই অসুস্থ থাকায় তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি। ঝিলিকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন জানান, ‘আটক সাকিবের দাবি, তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাঁর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত হন এবং তিনিও আহত হন। পরে ঝিলিককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তিনি ওই হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। তিনি জানতে পেরেছেন, মৃত অবস্থায়ই ঝিলিককে গুলশান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। সাকিব ঘটনাটি আড়াল করছেন। বিষয়টি গুলশান থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। তদন্তকরে গুলশান থানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান জানান, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।