দখিনের সময় ডেস্ক
দল জয় পেলে আনন্দ-উদযাপন হয়। উৎসবের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে খুশির সীমা থাকে না। আর এটাই স্বাভাবিক। অথচ ইরানের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত দেখা গেল।কাতার বিশ্বকাপে ইরানের প্রথম ম্যাচে খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীতই গাননি। জাতীয় সংগীতের সময় চুপ ছিলেন তারা। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সমর্থকদের হাতে ইরানের ছেড়া জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের চিত্রও দেখা গেছে। যদিও পরের ম্যাচে চাপে পড়েছে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন ইরানি ফুটবলাররা। চমৎকার পারফরম্যান্সও দেখান তারা।
কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় এশিয়ার দল ইরান। আর তাদের এই বিদায়ে আনন্দ উদযাপন করেছে ইরানের সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইরানের রাস্তায় সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা নেচে-গেয়ে, হর্ন বাজিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার মুহূর্ত উদযাপন করছেন। অনেক ইরানি বিশ্বকাপ দলকে সমর্থন দেয়নি। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ফুটবলারদের ওপরও প্রভাব পড়েছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬-২ গোলে হেরেছে ইরান। যদিও পরের ম্যাচে ওয়েলসের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় তারা।
১০ সপ্তাহ আগে ইরানে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ইরানের ‘নীতি পুলিশের’ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনি (২২) মৃত্যুবরণ করার পরই দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জম্ম হয়। এরপর ইরানে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় অনেক মানুষ প্রাণ হারান। যথাযথ নিয়মে হিজাব না পরার কারণে মাসা আমিনিকে আটক করেছিল নীতি পুলিশ। নীতি পুলিশের হাতে প্রহারের শিকার হওয়ার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন আমিনি।