দখিনের সময় ডেস্ক:
চলতি বছরে পবিত্র হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নিবন্ধন চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্প্রতি জারি করা হজযাত্রী নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মুসল্লি হজ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন এবার হজ করার সুযোগ পাবেন। আর এতে সরকারিব্যবস্থাপনায় খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। আর বেসরকারিভাবে খরচ হবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। আর তার একদিন পর ২ ফেব্রুয়ারি হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বেসরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবে হজ চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত কোটার বাইরে হজ টিমের (প্রশাসনিক ও মেডিক্যাল) সদস্য হিসেবে আরও ১ হাজার ২৭০ জন সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সমাপ্ত হবে। হজযাত্রীদের অবশ্যই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেটেড থাকতে হবে। জেদ্দা দিয়ে ৭০ শতাংশ এবং মদিনা দিয়ে ৩০ শতাংশ হজযাত্রী আসা-যাওয়া করবেন। এ ছাড়া এবার ৬৫ বছরের ওপরে বয়সীদের হজে গমনে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে।