দখিনের সময় ডেক্স ॥
তবে সিআইএসএফের মুখপাত্র অনিল পাণ্ডে বলেছেন, ‘উত্তেজিত জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করায় আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় সিআইএসএফ।’
তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টায়, যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা মনে করেন ভারতীয় বাহিনীকে মুসলিমরা আক্রমণ করছেন। এর উদ্দেশ্য হিন্দুদের ভোট এক জায়গায় নিয়ে আসা।
ঘটনাকে বিকৃত করার প্রয়াস বিজেপির একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া চার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমিত্র খান দাবি করেছেন শীতলকুচিতে স্থানীয় জনতা সিআইএসএফকে আক্রমণ করেছিল। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর আহত এক সিআইএসএফ কর্মকর্তা বলছেন, শীতলকুচিতে তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এটি একটি ফেক (ভুয়া) ভিডিও। ওই কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন ঠিকই, তবে ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব ভারতের রাজ্য ঝাড়খন্ডে আর তাঁকে কোনো মানুষ আক্রমণ করেনি। ঝাড়খ-ের বাগমারা জঙ্গলে গত শুক্রবার তাঁকে আক্রমণ করেছিল বাঁদরের দল। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবিকে সঠিক বলে জানিয়েছে ইন্টারনেটে তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী সংস্থা ‘অল্ট নিউজ’। বিজেপির নেতারা বারবার বলে আসছেন, নির্বাচনে শীতলকুচির মতো জায়গায় জায়গায় আরও গুলি চালানো হবে।
এদিকে বুধবার শীতলকুচিতে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুসলিম সস্প্রদায়ের যে চারজন মারা গেছেন তাঁদের পরিবার ও হিন্দু সস্প্রদায়ের যে একজন মারা গেছেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। হিন্দু সস্প্রদায়ের যিনি মারা গেছেন তিনি তৃণমূলের হাতে মারা গিয়েছেন বলে প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে। মমতা বলেছেন, নির্বাচন হয়ে গেলে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানালেও কী ধরনের সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতে পারে, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রী তা জানাননি। তাঁর আজকের সভা নিয়ে কোনো উত্তেজনা ছড়ায়নি।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতজুড়ে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির পাওয়ায় সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট বাকি দফার ভোটে কোনো রকম বড়সড় জমায়েত করবে না। অনলাইনে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার কথাই তারা বুধবার জানিয়েছে। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল কোভিডের কারণে ভোটের প্রচারে বড়সড় প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিল।