দখিনের সময় ডেস্ক:
শরীয়তপুর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী। আসামি তার শ্বশুরের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা যোগাড় করে না দিলে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দেন স্ত্রীকে। গত বৃহস্পতিবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, নড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্লাহর আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী। মামলায় স্বামী জসিম হোসেনসহ আরও ২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে জিম্মি করে অবমাননাকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম সজীব বলেন, আসামি তার শ্বশুরের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা যোগাড় করে না দিলে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দেন স্ত্রীকে। বাদী ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে থাকলে গত ২৩ জানুয়ারি স্বামীকে ডিভোর্স দেন। টাকা না পেয়ে এবং ডিভোর্সের নোটিস তুলে না নেওয়ায় আসামি গোপনে ধারণ করা স্ত্রীর ভিডিও ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় বাদী গত ৯ মার্চ আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত নড়িয়া থানাকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি জসিম হোসেনের সাথে ভুক্তভোগী নারীর ২০২০ সালে বিয়ে হয়। এরপর বিদেশে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। বিদেশে যাওয়ার পর স্ত্রীর পরিবারের কাছে গোপনে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি জাকির হোসেনকে ডিভোর্স দেন ভুক্তভোগী নারী।
এদিকে মামলার আসামি জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, যদি তিনি ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।