দখিনের সময় ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যে আকাশচুম্বী হয়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। ক্রমবর্ধমান খরচ আর অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া দেশটির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যে কারণে যুক্তরাজ্য খাদ্য ঘাটতি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ব্রিটেনের নাগরিকরা তাজা সবজির ঘাটতির মুখোমুখিও হতে পারেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের কর অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৩ টন সবজি আমদানি করেছে ব্রিটেন, যা ২০১০ সালের পর যেকোনো জানুয়ারির আমদানির হিসাবে সবচেয়ে কম ছিল। যদিও দেশটির জনসংখ্যা এখনকার তুলনায় সে সময় প্রায় ৭ শতাংশ কম ছিল। উত্তর আফ্রিকায় ফসলের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায় ব্রিটেনে খাদ্যশস্য ও সবজি সরবরাহ কমে গেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ব্রিটিশ ক্রেতারা টমেটো, শসা ও মরিচের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
চলমান এ কঠিন পরিস্থিতি ব্রিটেনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এমন এক স্তরে ঠেলে দিতে সহায়তা করেছে যা গত প্রায় ৫০ বছরেও দেশটিতে দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। মূল্যস্ফীতির এ রেকর্ড দেশটির নীতিনির্ধারকদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকরা বেশি খরচ করতে পারবেন না জেনে যুক্তরাজ্যের অনেক খুচরা খাদ্য বিক্রেতা এখন দোকানের জন্য কম পরিমাণে মালামাল কিনছেন; যা তাদের লাভের ওপর আঘাত হানছে। ব্রিটিশ গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ওয়ার্ড বলেছেন, ব্রিটেনের তাজা খাদ্য উৎপাদকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উৎপাদকরা কতক্ষণ পর্যন্ত লোকসানে পণ্য উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারেন, তার একটি সীমা রয়েছে।
সম্পাদনায় : ফারদিন আহমেদ আরবিন