দখিনের সময় ডেস্ক:
তিতাসের পাইপলাইন রাজধানীবাসীর জন্য মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। তিতাসের পাইপলাইনের কোথায় কোথায় ছিদ্র আর কোন কোন স্থানে নড়বড়ে অবস্থা- এসব চিহ্নিতকরণসহ সঠিক তথ্য ও হিসাব নেই খোদ কর্তৃপক্ষের কাছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি শুধু নাজুকই নয়, উদ্বেগজনকও।
রাজধানীর বুকজুড়ে জালের মতো বিস্তৃত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইন প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। জরাজীর্ণ এসব পাইপের স্থানে স্থানে মরচে পড়েছে। বছর বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও কোম্পানির উন্নয়ন প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়িতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক পাইপ। তদুপরি যাচ্ছেতাইভাবে ছিদ্র করে অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছে অসংখ্য সংযোগ।
প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পাইপ ছিদ্র করে অবৈধ সংযোগের কারণে তিতাসের পাইপের নেটওয়ার্ক প্রায় ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া তিতাসের অনুমোদন ছাড়া যেখানে-সেখানে পাইপলাইন স্থাপন হওয়ার কারণে এসব পাইপের নেটওয়ার্কও তিতাস কর্তৃপক্ষের অজানা। গত সোমবার(২৪ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এ ঘটনার পর আলোচনায় উঠে এসেছে তিতাসের গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনের ঝুঁকির বিষয়টি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিতাসের পাইপলাইনে ছিদ্র নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এসব পুরনো জরাজীর্ণ পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের কথা বলা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও পাইপলাইন প্রতিস্থাপনে তেমন কোনো উদ্যোগ এখনো গ্রহণ করা হয়নি।