Home লাইফস্টাইল কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যা করবেন

কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যা করবেন

দখিনের সময় ডেস্ক:
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এর অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি করা। এ দিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে পশুর রক্ত ও উচ্ছিষ্টাংশ থেকে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা রয়ে যায়। আর বর্জ্য থেকে বিভিন্ন রোগবালাই ছড়ানোর আশঙ্কা তো থাকেই। এজন্য পশু কোরবানির পর সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে আমাদের সবারই নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি কোরবানির পশুর বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবেই নানা রকম মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
অনেক সময় আমরা কোরবানির পশুর দেহের ভক্ষণ অযোগ্য অংশবিশেষও যেখানে-সেখানে ফেলে রাখি। নগর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর না হলে সেসব অংশ পচে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। নগর কর্তৃপক্ষ অবশ্য প্রতি কোরবানির ঈদের আগে বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়, জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালায়। তা ছাড়া সংবাদপত্র, টেলিভিশনসহ প্রায় সব গণমাধ্যমেই কমবেশি প্রচারণা চালানো হয়। তবে যদি কোরবানির বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা যায়, তাহলে পরিবেশ থাকবে দূষণমুক্ত, জনস্বাস্থ্যও থাকবে নিরাপদ।
বর্জ্য অপসারণ করার একটি উপায় হলো- কোরবানির আগেই বাড়ির পাশে কোনো মাঠে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটি গর্ত খুঁড়ে রাখা। কোরবানির পর পশুর বর্জ্য সেখানে ফেলে মাটিচাপা দেওয়া। জীবাণু যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য নোংরা জায়গা পরিষ্কারের সময় ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। তবে যেসব এলাকায় গর্ত খোঁড়ার উপযুক্ত জায়গা নেই, সেসব এলাকার বর্জ্য প্রচলিত উপায়ে অপসারণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার দায়িত্বভার কিছুটা হলেও কমবে।
বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে সচেতনতার পাশাপাশি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা হলো-
১. যারা নিজেদের বাড়িতে বা লনে কোরবানি করবেন, তাদের অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে।
২. এককভাবে কোরবানি না করে, মহল্লাভিত্তিক একটি নির্ধারিত স্থানে করা যেতে পারে। এতে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সম্মিলিতভাবে বর্জ্য অপসারণও সহজ হয়।
৩. কোরবানির পর একই ভবনের বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে একটি সোসাইটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। যেমন- সবাই মিলে বর্জ্য অপসারণের জন্য লোক ঠিক করা যেতে পারে, যারা কোরবানির পরপরই বর্জ্য সরিয়ে নিয়ে যাবে।
৪. জবাই করা পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট আলাদা করে খোলাভাবে না ফেলে সেগুলো ব্যাগে ভরে নির্ধারিত স্থান যেমন নিকটস্থ ডাস্টবিন বা কনটেইনারে ফেলতে হবে। সেখান থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বর্জ্য সহজেই সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়।
৫. পশু জবাইয়ের স্থানে কোরবানির পর পশুর রক্ত জীবাণুনাশক পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়ে ব্লিচিং ছিটিয়ে দিতে হবে, যাতে করে দুর্গন্ধ বা জমে থাকা পানিতে মশা ডিম পাড়তে না পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বাংলাদেশের চিন্ময় গ্রেফতারে ভারতের বিজেপি নেতার ‍উষ্মা, সীমান্ত অবরোধের ডাক

দখিনের সময় ডেস্ক: গুরুতর অভিযোএগ গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশের ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। ‍এ ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার...

আওয়ামী ভুতে আক্রান্ত ওসি!

দখিনের সময় ডেস্ক: স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে পুলিশের বাড়াবাড়ি চরমে পৌছেছিলো। এদের অনেকের কথাবার্তায় লাগাম ছিলো না। ‍এরা ছিলো আওয়ামী ভুতে আক্রান্ত। ৫ আগস্ট আওয়ামী...

মন খারাপের কথা শোনে ‘মাইন্ডি’

দখিনের সময় ডেস্ক: ‘মাইন্ডি’ নাম অনেকের কাছেই অপরিচিত হলেও, হাজারো তরুণের জন্য হতে পারে আশার আলো। তারা শুধু তরুণদের নিয়েই যে কাজ করেন এমনটি নয়।...

চিয়া সিড কি পেটের মেদ কমাতে পারে?

দখিনের সময় ডেস্ক: চিয়া সিড সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে যারা পেটের মেদ ঝরাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী হিসেবে...

Recent Comments