Home শীর্ষ খবর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘হার্ড লাইনে’ যেতেপারে পুলিশ

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘হার্ড লাইনে’ যেতেপারে পুলিশ

দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশে কয়েক দিন নমনীয় থাকার পর আবার কঠোর হতে যাচ্ছে পুলিশ। অবস্থা বুঝে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘হার্ড লাইনে’ যাওয়ার কথাও বলছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এদিকে গতকাল বুধবার(২৬ জুলাই) রাত ১০টা পর্যন্ত বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
পুলিশ বলছে, পরস্পরবিরোধী দলগুলোর সমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘাতের শঙ্কা রয়েছে। তাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে মেটাল ডিটেক্টরসহ অতিরিক্ত পোস্ট বসাবে। বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারে গোয়েন্দাদের নেতৃত্বে অভিযান চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত প্যাট্রলিং করব, চেকপোস্ট স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে র‌্যাব। মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে, যাতে কেউ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বা নাশকতা সৃষ্টির মতো কোনো ধরনের সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। চেকপোস্ট স্থাপন করে প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত দলটির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজধানী থেকে। এ ছাড়া জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীর যে কোনো সড়কে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয় ভাবছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীর নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিলে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে নিতে পারেন। তাই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ও জনদুর্ভোগ কমাতে বিএনপিকে ঢাকার কেন্দ্রের বাইরে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বৃহস্পতিবার কর্মদিবসের কারণেই নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিতে চান না তারা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে হাইকোর্টের একটা অবজারভেশন আছে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা বিএনপিকে গোলাপবাগে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছি। মানুষকে কষ্ট না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ করা উচিত। ভবিষ্যতে হয়তো এমন সময় আসবে, যখন জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে এসব কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা লাগতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বিআরইউ’র সভাপতি আনিসুর, সম্পাদক খালিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির (বিআরইউ) সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন (নিউ এইজ / ঢাকা ট্রিবিউন) আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন খালিদ সাইফুল্লাহ (নয়া...

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের জানাজা শেষে বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে...

অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর গ্রেফতার

দখিনের সময় ডেস্ক: চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে আটক করা হয়। নিউমার্কেট থানার...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম...

Recent Comments