এশিয়া ও আফ্রিকায় নৌঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা চীনের

দখিনের সময় ডেস্ক:

এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশে নৌঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা করছে চীন। বুধবার (২৬ জুলাই) প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এইডডেটার এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো চীনের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে বাণিজ্যিক কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এবং যাতায়াত পথ যাতে সহজ নয়, সে জন্য এসব ঘাঁটি বানানোর কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

এইডডেটার বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের গোয়াদার, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা ও ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বাটা নামক এলাকায় নৌঘাঁটি বানাতে যাচ্ছে চীনের নৌবাহিনী। আগামী ২-৫ বছরের মধ্যেই বানানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনা করে এমন দাবি করা হয়েছে। এসব এলাকার বন্দরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অর্থায়ন করছে চীনের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে কৌশলে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

শুধু এই তিন জায়গায় নৌঘাঁটি বানানো হবে, এমনটি নয়। এমন ৮টি বন্দর এলাকা বেছে নিয়েছে চীনের নৌবাহিনী। এর আগে একমাত্র আফ্রিকার দেশ জিবুতিতেই নৌঘাঁটি বানিয়েছে চীন।

বাণিজ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা জোট গঠন করে সাগরপথ নিজেদের জন্য সহজ করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে চীন। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভের আওতায় এবার দেশটি ঘাঁটি বাড়াবে।

আফ্রিকাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। সেখানে আরও ৪টি নৌঘাঁটি বানানো হবে। তবে দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীর দিকে ঘাঁটি বানানো সহজ হবে তাদের জন্য। বাকি জায়গায় বানাতে সময় লাগবে।