দখিনের সময় ডেস্ক:
চোট কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে আরও সপ্তাহ তিনেক সময় লাগবে তামিম ইকবালের। কিন্তু তারপরও যে একটানা ম্যাচ খেলতে পারবেন সে ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা নেই। যে কারণে নেতৃত্ব ছাড়ার পাশাপাশি আসন্ন এশিয়া কাপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম। তবে সবঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি।
প্রায় এক বছর ধরে চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন তামিম। সর্বশেষ আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজের মধ্যে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও আসেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক। এরপর দেড় মাসের ছুটি নিয়ে সপরিবার চলে যান দুবাইয়ে। সেখান থেকে লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে গত সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন।
বিসিবির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমিও পুরোপুরি নিশ্চিত নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরতে পারব। যেন কোনো বাড়তি সমস্যা না হয়, এ কারণেই বাড়তি সময়টা নেওয়া। যেন আমি সেরা অবস্থায় নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরতে পারি। এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে যদি জোরাজুরি করতাম, তাহলে খেলতে পারতাম। কিন্তু ওইটা কেউই চাচ্ছে না, এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
তামিমের বাইশ গজে ফেরা প্রসঙ্গে আশাবাদী নাজমুল হাসান পাপনও। বিসিবি বস বলেন, ‘এশিয়া কাপ খেলতে গেলে তো ওর ইনজুরি পারমান্যান্ট ড্যামেজ হয়ে যাবে, সেটা আমরা চাই না। আমি পূর্ণ নিশ্চিত, সে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরবে।’
সদ্য সাবেক এই অধিনায়কের ক্রিকেটে ফেরার প্রক্রিয়াটা এখনও অনেক যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে। এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেন, ‘২৮ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত হালকা রিহ্যাব। দুই সপ্তাহ এখানে চলে যাবে। এরপর খেলার মতো না হলেও তাকে নিয়ে আস্তে আস্তে কাজ করা হবে। এ সময়ে আরও দুই সপ্তাহ চলে যাবে তাঁর নেটে আসতে। তো তার অনুশীলনে পুরোদমে ফেরার ব্যাপারটা হতে হতে ২১ আগস্ট হয়ে যাবে।’ জালাল ইউনুস বলতে থাকেন, ‘সবাই জানেন যে দল এশিয়া কাপে যাবে ২৬ আগস্ট। তো আমরা বিসিবি প্রধান, চিকিৎসক, ফিজিও, তামিমসহ সবাই কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই এশিয়া কাপে তাঁকে ফেরানো সম্ভব হবে না।’
আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের এই সিরিজ শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর। সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে যথাক্রমে ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।