রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি ১০ দিন পেছাল

দখিনের সময় ডেস্ক:

বেতনের সঙ্গে ৭৫ ভাগ রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসনের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কর্মসূচি ১০ দিন পিছিয়েছে। ফলে মধ্যরাত থেকে ট্রেন চলাচলে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিলো তা আপাতত কেটে গেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের সাথে আলোচনা এবং পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট আলোচনার জন্য রোববার থেকে ১০ কর্মদিবস পর্যন্ত কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হলো।’ মজিবুর রহমান আগে জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী হেডকোয়ার্টারে তাদের ৮ ঘণ্টার ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম করার কথা। কিন্তু কর্মী সংকট থাকায় তারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম করার পর আবার কাজ করেন। রেলের কর্মীরা রেলের স্বার্থে কাজ করতে চান। কিন্তু রেলওয়ে তাদের স্বার্থের বিষয়ে আন্তরিক নয়। এর প্রতিবাদে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন তারা।

নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তাঁর নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তাঁর বিশ্রামের সময়েও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।

২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা সীমিত করতে রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রানিং স্টাফরা।