Home রাজনীতি বিএনপিতে বিভক্তি, আলোচনা আমদানি ও খান্দানি

বিএনপিতে বিভক্তি, আলোচনা আমদানি ও খান্দানি

বিশেণ প্রতিনিধি:

বিএনপির ভিতরের অবস।তা খুবই ‘ঘোলাটে’ হয়েছে। দলের মধ্যে বিভক্তি ‘চরমভাবে’ স্পষ্ট। এখন নতুন আলোচনায়ে এসেছে দলে কারা খান্দানী আর কারা আমদানী। এই পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিধ্বস্থ বিএনপি। সূত্রমতে, মির্জা আব্বাসের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্য কেন্দ্র করে কিছু নেতা ‘বাড়াবাড়ি’ করছেন।

গত ১৭ এপ্রিল এক ভার্চুয়াল সভায় নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীকে নিয়ে মির্জা আব্বাসের বক্তব্যকে পুঁজি করে ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাসকে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে এমন ভাষায় চিঠি দেওয়া হয়েছে, যা তার জন্য বিব্রতকর।

বিএনপিতে এখন অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে পরিচিত স্থায়ী কমিটির তিন নেতাই বিবক্তির মূল কারণ বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। দলে আধিপত্য ধরে রাখার জন্য মির্জা আব্বাসসহ দলের স্থায়ী কমিটির অন্তত তিন সদস্য, তিন ভাইস চেয়ারম্যান ও চার যুগ্ম মহাসচিবকে কোণঠাসা করতে চান তারা। তাই মির্জা আব্বাসকে বিতর্কিত করতে তার বক্তব্য ইস্যু করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এখন বিএনপিতে ‘আমদানি ও খান্দানি’ নাম দুটি শব্দ বলাবলি হচ্ছে। অর্থ্যাৎ যারা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে বিএনপিতে আছেন কিংবা বিএনপিতে এসেই রাজনীতির হাতেখড়ি; তাদের বলা হচ্ছে খান্দানি। আর যারা অন্য দলের রাজনীতি করে ’৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগে-পরে দলে যোগ দিয়েছেন তাদের বলা হচ্ছে ‘আমদানি’। অর্থ্যাৎ তারা অন্য দল থেকে আমদানি হয়ে বিএনপিতে এসেছেন।

মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের পর দলের মধ্যে দুটি ধারার দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এক পক্ষ মির্জা আব্বাসের বক্তব্য স্বাভাবিক মনে করছে, কেউ কেউ সমালোচনা করলেও তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়াকে শোভনীয় মনে করেননি। তাদের মতে, স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা এবং তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে সহজ সমাধান দেওয়া যেত। অপরপক্ষ মনে করেন, দলের সবার জবাবদিহিতা থাকা উচিত। তাই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। অবশ্য, কেউ কেউ বলেন, অতীতে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের অনেকেই বেফাঁস বক্তব্য দিয়েছেন, যাদের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার প্রশ্ন আসেনি।

যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গণমাধ্যকে জানিয়েছেন, ‘বিএনপিতে বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই। তবে নেতাদের ব্যক্তিগত রেশারেশি ও ঈর্ষা পরিহার করা উচিত। ওপরে ওপরে লোক দেখানো ঐক্য দেখালে চলবে না, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। সে চেষ্টা আমাদের সবার করতে হবে। এটা আমাদের সবাইকে বুঝতেও হবে।’ তিনি বলেন, ‘একটা কথা সবাইকে বুঝতে হবে, মির্জা আব্বাস বিএনপি ও জিয়াপরিবারের পিলার। দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জিয়াপরিবার এবং বিএনপির আস্থাভাজন নেতা। যদি কেউ হিংসা বা ঈর্ষার কারণে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে, আমার বিশ্বাস সেটি আমাদের দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গভীরভাবে বিবেচনা করবেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম...

মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবিগঞ্জে মানহানির একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আলীম...

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

দখিনের সময় ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সাময়িক...

বাউফলে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বাউফল প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে কালাইয়া-বাউফল ও বরিশাল সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েকশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত দুই ঘন্টা দাশপাড়া...

Recent Comments