ভারতের নিষেধাজ্ঞায় ঝুকিতে বিশ্ব চালের বাজার

দখিনের সময় ডেস্ক:

ভারতের রপ্তানি নিষিদ্ধের পর থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোতে চালের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম চাল সরবরাহকারী ভারত গত জুলাইয়ে দেশটির প্রধান একটি জাতের চালের চালান নিষিদ্ধ করার পর বিশ্বজুড়ে চাল সরবরাহে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে।

ভারতের রপ্তানি নিষিদ্ধের পর থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোতে চালের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য রপ্তানিকারকরাও ভারতের মতো একই ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যে কারণে চাল ব্যবসায়ীরা বিশ্বের অন্যতম প্রধান এই খাদ্যশস্যের সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে, গত বছরও ভাঙা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ এবং বিভিন্ন গ্রেডের চালের চালানের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত। দেশটির এমন পদক্ষেপে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চালের চলমান স্থিতিশীল বৈশ্বিক বাজার দরের অবসান হলো। বিশ্ববাজারে চালের বৃহত্তম সরবরাহকারী ভারত ২০ জুলাই চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশটির চালের চালান প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। যা বিশ্বজুড়ে খাদ্যমূল্যে আরও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করছে। ভারতের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার একদিন পর ২১ জুলাই অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের খাদ্য সংস্থার প্রতি আহ্বান জানায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক ভিয়েতনাম। অ-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন চালের সরবরাহ চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।

ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড থেকে রপ্তানি করা চালের দাম এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছায়। ভারত গবাদি পশুর খাদ্য শিল্পে ব্যবহৃত ধানের তুষের রপ্তানি আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সীমিত করার নির্দেশ দেয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও ভারত থেকে আমদানি করে পুনরায় সেই চালের রপ্তানি চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে।

এদিকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র অভ্যন্তরীণ চালের মজুত অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানান। স্থানীয় ফসলের ওপর এল নিনোর শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাব্য প্রভাব এবং অন্যান্য সরবরাহকারীদের নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের কারণে তিনি ভারতের সরকারের সাথে একটি সরবরাহ চুক্তির প্রত্যাশা করেন।