ময়মনসিংহে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা

মোঃ কামরুল ইসলাম খান ফুলপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া কপি ক্ষেত এলাকায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে সানজিদা আক্তার রেমি (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন, নিহত রেমির বাবা ভাটিকাশর জমির ব্যাপারি বাইলেন এলাকার এমদাদ হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ মাস আগে নগরীর চরপাড়া কপি ক্ষেত এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে শুভর সঙ্গে রেমির বিয়ে হয়, বিয়ের পর ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর উপর প্রায়ই নির্যাতন চালাত শুভ, জুয়াখেলায় বাজিতে হেরে টাকার জন্য রেমিকে মারধর নির্যাতন করায় মেয়ের সংসার বাঁচাতে ১ লাখ টাকা দেন রেমির বাবা এমদাদ, টাকা শেষ হয়ে গেলে আবারো নির্যাতন শুরু করে শুভ, গত রবিবার রাতে যৌতুকের টাকার জন্য গালাগাল ও নির্যাতন চালায় জুয়াড়ি শুভ, নির্যাতনের এক পর্যায়ে রেমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেমিকে মৃত ঘোষণা করে, হাসপাতালে রেমি মারা গেলেও তার বাবাকে জানানো হয় রেমি খুব অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, রেমির মৃত্যুর খবর বাবা এমদাদ হোসেন জানার পর ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় স্বামী শুভ ও শশুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই সবাই পলাতক রয়েছে ।

নিহত রেমির বাবা এমদাদ হোসেন বলেন, আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে রেমিকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে শুভ ও তার পরিবারের লোকজন ।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ ফিরোজ তালুকদার বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের ধরতে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে