খাইরুলের ছোট ভাই মাসুদ মিয়াসহ কয়েকজন এসে ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। শেষে মাসুদ তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান। পরে দুই বস্তা ধান চুরির অপবাদ দিয়ে সন্ধ্যায় তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের নজরে আসে। পরে তাঁর নির্দেশে রাত দুইটার দিকে পুলিশ মাসুদ মিয়াকে আটক করে এবং বারেককে হাসপাতালে ভর্তি করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বারেককে আবার থানায় এনে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।
তবে মাসুদের স্বজনদের অভিযোগব, ‘বারেক আমার দুই বস্তা ধান চুরি করেছে। তাঁকে হালকা শাসন করা হয়েছিল। পরে পুলিশে খবর দিয়ে দুই বস্তা ধানসহ তাঁকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’
এ ব্যাপারে বারেকের ছেলে আজিজুল মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি।’ তিনি বলেন, ‘আমার আব্বা চার–পাঁচ দিন আগে মদনের গোবিন্দশ্রী একটি বাড়িতে থাকইক্কা ধান সাহায্য তুলে। অহন আমার আব্বারে তারা চুরির অপবাদ দিয়া বাইন্দা নির্যাতন করছে। আবার উল্টা মামলা করছে। আমরা মামলা করবাম কিবাং টেহাপয়সা নাই। পুলিশ মামলা নিত চাইতাছে না।’