দখিনের সময় ডেস্ক:
হামাসের যোদ্ধারা এখনও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ‘ভয়াবহ’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান ‘যুদ্ধে’ এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে পাঁচ শতাধিক মানুষের। এর মধ্যে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৩০০ ইসরায়েলি। তবে সংঘাত এখনও শেষ হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডস বলেছে- তাদের যোদ্ধারা এখনও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি শহরে ‘তীব্র সংঘর্ষে’ নিয়োজিত রয়েছে। স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হামাসের যোদ্ধারা এখনও যেসব ইসরায়েলি শহরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে অফাকিম, সেডেরট, ইয়াদ মোর্দেচাই এবং কেফার আজ্জা, বেরি এবং কিসুফিমও রয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জনই শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ২৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হামলায় আরও প্রায় ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণে রাফাহ থেকে উত্তরে বেইট হানুন (ইসরাইলিদের কাছে এরেজ নামে পরিচিত) এলাকা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শহরে বাড়িঘর ভেঙে গেছে।
অন্যদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ২০ শিশু রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় নিহতদের মধ্যে ২০ শিশু এবং কমপক্ষে আরও ১২০ জন নাবালক আহত হয়েছে। মূলত অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের শিশুরা প্রায়শই লড়াইয়ের সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ইসরায়েল বলেছে, তাদের বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের গোয়েন্দা প্রধানের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, হামাসের গোয়েন্দা প্রধানের ওই বাড়িটি সামরিক অবকাঠামো হিসাবে ব্যবহার তরা হচ্ছিল। এছাড়া সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।