Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি রাজাপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান কাজের অভিযোগ

রাজাপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান কাজের অভিযোগ

মো: সাগর হাওলাদার:

ঝালকাঠির রাজপুরের ৬৭ নং উত্তমপুর মৌজার উত্তামপুর গ্রামে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান না করার জন্য জমির মালিক ২০/২৫ টি দরিদ্র কৃষক পরিবারের অর্ধশত নারী-পুরুষ “পূর্ব পরুষের সম্পত্তিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প চলবে না” ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবুর রহমান আকন্দ, কুলসুম বোগম, শাহাভানু, রিজিয়া বেগম, আঃ জলিল মাষ্টার, শরীফ সোহেল, আমিনুল ইসলাম বাবুল ও বিউটি বেগম প্রমুখ।

এ সময় বিক্ষুদ্ধরা জমিতে বালু ফেলার পাইপ খুলে ফেলে কাজ বন্ধ করে দেন। বক্তারা বলেন, উক্ত জমি ১৯৫৬ ইং সনে ভুল বসত সরকারের ১ নং ক্ষতিয়ানে রেকর্ড হয়েছিল কিন্তু পুর্বে আর এস ও সি এস পর্চায় আমাদের বাপ-দাদাদের নামে রেকর্ড ছিল, তারপরও আমরা ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে ১২/৬/২০১৭ ইং তারিখ মামলা করেছি, যার নং ৩৬/১৭ (রাজা)। আমাদের আর এস খতিয়ান নং- ১০৯২, ১০৮২,১০৬২,০৩৬,৯৮৭,৯৯৭, ও ৯৯১। এবং দাগ নং- ১৮৮০,১৯৩৫,১৯৩৬, ১৯৩০,১৮২৩১৯২০ ও ১৯২২। জমির পরিমান ১একর ৩৫শতাংশ।

কৃষকরা আরো জানান, ওই জমিতে মরিচ, মুগডাল, মিষ্টি আলু, বরবটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকার ফসলে বালু ফেলে নষ্ট করা হয়েছে ।

 কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ সভা করার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোক্তার হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অনুজা মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন অর রশিদসহ প্রশাসনের প্রায় ১০/১৫ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ওই জমির মালিকানা দাবিদার ক্ষতিগ্রস্থ উপস্থিত লোকজনকে প্রশাসন জানান, এই জমি ১৯৫৬ ইং সন থেকে সরকারের খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই আদালতের কোন আদেশ ছাড়া প্রকল্পের কাজ বন্ধ করা যাবে না। আপনাদের কোন কথা থাকলে আমার (ইউএনও) অথবা সহকারী কমিশনার, ভুমি, রাজাপুর অফিসে আসুন আমরা আপনাদের কথা শুনবো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, ওই জমির দাবিদার কৃষকরা দীর্ঘ বহু বছর জমির খাজনা পরিশোধ করেনি এমনকি এসএ ও বিএস রেকর্ডও তাদের নামে নেই। এসএ ও বিএস রেকর্ড সরকারের নামে হয়েছে। কৃষকরা মামলা করেছেন। মামলায় একবার তারা হেরেছেন। মামলাটি আপিল বিভাগে চলমান আছে। তাই আদালতের কোন আদেশ না আসাপর্যন্ত আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলবে। আদালতের আদেশ আসলে সেই অনুযাই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল

দখিনের সময় ডেস্ক: এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমেরিকান-ইহুদি কিশোর (১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী) 'আমি হামাসের সাথে সহানুভূতিসম্পন্ন'- এমন বক্তব্যের সাথে একমত। ইসরাইলের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে...

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকার

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতিদিন কলা খেলে মেলে অনেক উপকার। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন। যে কারণে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি...

মোহিনীর প্রেমের এআর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বলছেন পুত্র

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে এআর রহমান। সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যের অবসান। বুধবার রাতে রহমানের স্ত্রী সায়রার আইনজীবী এই খবর...

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

Recent Comments