Home জাতীয় বিদেশ থেকে আসে একটা পল্টন থেকে আরেকটা, কী করবে নেতাকর্মীরা

বিদেশ থেকে আসে একটা পল্টন থেকে আরেকটা, কী করবে নেতাকর্মীরা

দখিনের সময় ডেস্ক:
বিএনপি মৃত্যুফাঁদ তৈরি করে দেশের মানুষকে হত্যা করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপির মাথা নেই, তাদের নেতৃত্ব দেবে কে? বিদেশ থেকে আসে এক নির্দেশনা, পল্টন থেকে আসে আরেকটা— কোনটা পালন করবে তাদের নেতাকর্মীরা?  রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩ সাল থেকে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আন্দোলনের নামে এবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। বিএনপি জানে; জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা মরিয়া হয়ে নির্বাচন বানচাল এবং সরকার উৎখাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। যারা মানুষকে পুড়িয়ে মারে, রেললাইন কেটে দেয়- সেই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।
বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস জনগণ মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতার পকেট থেকে জন্ম নেয় নাই। এই অগ্নিসন্ত্রাস করে আওয়ামী লীগকে কখনো উৎখাত করা যাবে না। যারা রেললাইন উপড়ে ফেলে, মানুষ হত্যা করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিল— আমরা আছি পল্টনে তারেক কেন লন্ডনে। তারেকের নির্দেশে মানুষ পোড়ানো হচ্ছে। তাদেরকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বর্তমান বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষ জানে কারা তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করবে। আর বিএনপির মাথাই নেই। তাদের নেতৃত্ব দেবে কে? বিদেশ থেকে আসে এক নির্দেশনা। পল্টন থেকে আসে এক নির্দেশনা। কোনটা পালন করবে তাদের নেতাকর্মীরা?
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ২০০১ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ২৬ বছরে প্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা স্থানান্তর করা হয়। এর আগে একবারও এমন হয়নি। সেই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে অনিয়ম করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, গ্যাস বিক্রি মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতা আসে। তবে গ্যাস দিতে পারে নাই। তিনি বলেন, বিএনপির দুঃশাসন, দুর্নীতির কারণে দেশে ইমার্জেন্সি হয়। ইমার্জেন্সি সরকারের কথা ছিল মাত্র তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে। তারাও ক্ষমতার লোভে চেপে বসে। আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে, ধন্যবাদ জানাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে। সবাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লক্ষ মানুষের সিগনেচার সংগ্রহ করে। তখন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তার অফিসে পৌঁছে দেয়। এটা অন্য কোনো দলের পক্ষে সম্ভব না। আওয়ামী লীগ শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। আওয়ামী লীগের উপর যত আঘাত আসুক ঝড়ঝাপটা আসুক, আওয়ামী লীগ জনগণের হয়ে লড়াই করে। জনগণের ভোটের-ভাতের অধিকার অর্জন করে। এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। এই নির্বাচনে ২৩৩টি সিটে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে। আর অপরদিকে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০ সিট। আমি এজন্য কথাগুলো বললাম, কারণ তাদের চরিত্র বদলাই নাই। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

অতীতের মতো আগামীতেও অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে: জামায়াত আমির

দখিনের সময় ডেস্ক: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে। তারা পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে অপচেষ্টা...

সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনায় চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল: নাহিদ

দখিনের সময় ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশে এ...

চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ৬ নেতা-কর্মী আটক

দখিনের সময় ডেস্ক: চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নগরীর...

যেভাবে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করা হয়

দখিনের সময় ডেস্ক: বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) নেতা অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে...

Recent Comments