Home শীর্ষ খবর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্যই ব্যয় ৫০ হাজার টাকা, এবার নির্বাচনে ব্যয়ের রেকর্ড

একজন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্যই ব্যয় ৫০ হাজার টাকা, এবার নির্বাচনে ব্যয়ের রেকর্ড

দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনের ব্যয় দু হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যেই সরকার এই জন্য সাতশ কোটি টাকার বেশি ছাড় করেছে, যা নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। খবর সূত্র: বিবিসি বাংলা।
প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দুদিনের সম্মানী ভাতা দেয়া হবে। বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই ‍এ ব্যবস্থা প্রথম। এর ফলে আগের নির্বাচনের তুলনায় এবারে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ। কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দেশ জুড়ে প্রায় নয় লাখ কর্মকর্তা নির্বাচনের কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, কর্মকর্তাদের দুদিনের সম্মানির সাথে প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণে দাম বৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিকভাবেই এবার ব্যয় বাড়ছে। পোলিং এর সাথে জড়িত কর্মকর্তারা এবারের নির্বাচনে একদিনের বদলে দুদিনের সম্মানী পাবেন। তবে বেসরকারি পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান জানিপপের চেয়ারম্যান প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমউল্ল্যাহ বলছেন, সব দল না আসায় এ নির্বাচনে ঝুঁকি বেশি এবং সে কারণেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ায় ব্যয় বেড়ে গেছে।
একদিনের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার চার হাজার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তিন হাজার ও পোলিং অফিসার দুই হাজার করে টাকা পাবেন। এছাড়া যাতায়াত ভাড়ার জন্য তারা সবাই অতিরিক্ত জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়াও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের গোপন কক্ষ ও বেষ্টনীর জন্য প্রতিটি কক্ষের জন্য আটশ টাকা করে দেয়া হবে। প্রায় বারো কোটি ভোটারের এবারের নির্বাচনে সারা দেশে তিনশ সংসদীয় আসনের মোট কেন্দ্র থাকবে ৪২ হাজারেরও বেশি। এছাড়াও ব্যালট পেপার আনা-নেওয়া, রিটার্নিং অফিসারের সহায়ক কর্মকর্তাদের যাতায়াত ছাড়াও সারা দেশে যে সব ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দিন কাজ করবেন তারাও ভাতা পাবেন।
ম্যাজিস্ট্রেট বা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মকর্তারা নির্বাচনের আগে ও পরের দুই দিনেরসহ মোট পাঁচ দিনের জন্য দিনে জনপ্রতি নয় হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। এছাড়া স্টাফ ভাতা হিসেবে তারা প্রতিজন প্রতিদিনের পাবেন আরও এক হাজার টাকা। অর্থাৎ একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মানী বা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ভাতা দিতে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হবে ৫০ হাজার টাকা।
আগের নির্বাচনগুলোতে খরচ কেমন ছিল? নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল সাতশ কোটি টাকার মতো। যদিও পরে তা কিছুটা বেড়েছিলো। ওই নির্বাচন বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ নিয়েছিলো। এর আগে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল। সে নির্বাচনের জন্য মোট খরচ হয়েছিলো প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা। আর ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বাংলাদেশের বিপ্লব বিশ্বজুড়ে প্রেরণা জোগাবে : জাতিসংঘে ড. ইউনূস

দখিনের সময় ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়...

জাতিসংঘে ‘তিন শূন্য’ তত্ত্বের ওপর গুরুত্বারোপ ড. ইউনূসের

দখিনের সময় ডেস্ক: শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে আলোচিত তার তিন শূন্য তত্ত্বের জন্য। সেগুলো হচ্ছে— দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।...

মুখ খুললে আমাকে শেষ করে দেবে, বললেন যৌন হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক: যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার ঘটনা নিয়ে প্রকাশ হওয়া ‘হেমা কমিশন’ এর...

জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম  বিক্রি হলো সোয়া ৮ কোটি টাকায়

দখিনের সময় ডেস্ক: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি চিত্রকর্ম পাঁচ লাখ ১৬ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় আট কোটি ২৫ লাখ টাকার সমান।...

Recent Comments