গত ৮ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বাস্তবতার প্রতিধ্বনি করেছেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেছিলেন, ‘সশস্ত্র প্রতিরোধের সামনে নিরস্ত্র ব্যক্তি কতটুকু করতে পারে?… আমি মনে করি বিএনপির এই নির্বাচনে যাওয়া উচিত।’ একই সময় একই মত ছিল সাধারণ কর্মী-সমর্থকদেরও। তাদের বিশ্লেষণ ছিল, ক্ষমতার বাইরে ১৬ বছর থেকে নির্বাচন বয়কট কতটা ফল বয়ে আনবে?
সরকারকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে আখ্যায়িত করে শুধু নির্বাচন বর্জনের কি সমাধান আসার কথা? নিশ্চয়ই না। গৃহীত কৌশলের বিকল্প থাকার প্রয়োজন ছিল। এবার দেখা গেছে, সরকারের ক্রাকডাউনে ছোট-বড়-মাঝারি নেতারা সব আত্মগোপনে চলে গেলেন, অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদিকে তৃণমূলের প্রতি বার্তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। বিএনপির এ বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ছিল ‘ঝাঁমেলায়’। ফলে দলটির শক্তিশালী অবস্থান থাকা বগুড়ায়ও দলটির নেতাকর্মীরা জোরালোভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারেননি।
তপশিল ঘোষণার দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এরপর তারা পিছু হটে। এদিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ সরে গেলেও নেতাকর্মীরা ভেরেননি তালা ভাঙার আগ পর্যন্ত। এরপরও যারা যাচ্ছেন তারাও সতর্ক মৃগকুল। সবাই জানেন, পেটের ভেতর শব্দেও মৃগকুল দিগিবিদিক ছুঁটতে থাকে।
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪। শিরোনাম, এখন কী করবে বিএনপি