মেডিকেল রিপোর্ট-এর নমুনা, ২২ সেলাইর ক্ষতকে বলা হয়েছে ‘সিম্পল ইনজুরি’

দখিনের সময় রিপোর্ট:
চিকিৎসার নামে দেশে চলমান ঘটনার নমুনা খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এক সময় যে সুন্নতে খতনা নিরক্ষর হাজমরা নিরাপদে করতেন সেই কাজ এখন ডাক্তাররা করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু ঘটাচ্ছেন। এ রকম আরো অনেক অরাজগতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে অনেক হাসপাতাল। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। এই ‘সার্টিফিকেট ব্যবসার’ কারণে সুষ্ঠু বিচার বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
খুনের বিচারে জন্য লাশের পোস্টমর্টেম যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই আহত হবার ঘটনায় বিচারে গুরোত্বপূর্ণ হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে বড় ধরনের বাণিজ্য হয়। এরকমই একটি বড় বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক সার্টিফিকেটকে কেন্দ্র করে।
উল্লেখ্য, বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের বৌসেরহাট এলাকার রিয়াজ চৌধুরী ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ হত্যাচেষ্টার শিকার হন। তাঁর ঘার লক্ষ করে দেয়া কোপ হাত দিয়ে ঠেকাতে দিয়ে যে ক্ষত হয় তাতে সেলাই লাগে ২২টি। এ জন্য হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ৬দিন। আর এই ক্ষত শুকাতে সময় লেগেছে প্রায় একমাস। অথচ এই আঘাতকে মেডিকেল সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সিম্পল ইনজুরি’ হিসেবে! এই সার্টিফিকেট দিয়েছেন ডা. শওকত হোসেন।

সূত্র মতে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন সদুত্তর পাননি। এদিকে একটি সূত্র বলছে, আগে ভুক্তভোগী ব্যক্তি চাইলে মেডিকেল সার্টিফিকেট পেতে পারতেন। কিন্তু সেই বিধান রহস্যজনক কারণে রহিত করা হয়েছে। এখন মেডিকেল সার্টিফিকেট পাবার একমাত্র এখতিয়ার হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তার। অনেক ক্ষেত্রেই আসামীদের সঙ্গে যোগসাজসে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি গোপন রাখেন। এ ক্ষেত্রে বিচার চলাকালে ভুক্তভোগিী ব্যক্তি আদালত থেকে মেডিকেল রিপোর্টের কপি সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু তখন আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন কিছু আর করার থাকে না বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।