আত্মহত্যার ঘটনার আইনি প্রতিকার কতটা আছে? আত্মহত্যার চেষ্টা যেমন অপরাধ তেমনি কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়াও অপরাধ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এছাড়া আত্মহত্যায় প্ররোচনা বা উস্কানি দেয়ার বিষয়টি যথাযথভাবে প্রমাণিত হলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নেন এবং অনুরূপ অপরাধ করার উদ্দেশ্যে কোনও কাজ করেন, তা হলে তার এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে, বা উভয় শাস্তিই হতে পারে। দণ্ডবিধি ১৮৬০–এর ৩০৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি আত্মহত্যা করে, তাহলে যে ব্যক্তি আত্মহত্যায় সাহায্য করবে বা প্ররোচনা দান করবে, সে ব্যক্তিকে ১০ বছর পর্যন্ত যে কোনও মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু আত্মহত্যার ঘটনা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিক দুটি আত্মহত্যার ঘটনা দেশ জুড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২৩ সালে সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। তবে বাংলাদেশে সব মিলিয়ে বছরে কত মানুষ আত্মহত্যা করে তার পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।