দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজধানীতে মেট্রোরেল জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে না। লক্ষ্য অনুযায়ী মেট্রোরেল পূর্ণ সক্ষমতায় চললে দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী হতে হবে। এখন হচ্ছে তিন লাখের কম। যাত্রীর চাপ ততটা বেশি না হওয়ায় তারা ট্রেন চলাচলের মাঝের বিরতি কমিয়ে আনতে পারছে না। এ অবস্থায় যাত্রী বাড়ার আগেই বসছে ভ্যাট, বাড়বে ভাড়া। অবশ্য, এ নিয়ে উভয় সংকটে আছে মেট্রোরেল ।
এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। ফলে ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আরোপ হতে পারে। ডিএমটিসিএল এই ভ্যাট যদি যাত্রীর ওপর না চাপায়, তাহলে তাদের বর্তমান আয় থেকেই তা দিতে হবে। অন্যদিকে ভ্যাট যাত্রীর ওপর চাপালে ভাড়া বাড়বে। ডিএমটিসিএলের কোনো কোনো কর্মকর্তা মনে করছেন, ভ্যাট আরোপের কারণে ভাড়া বাড়ানো হলে মেট্রোরেলে যাত্রী বৃদ্ধির প্রবণতায় ভাটা পড়তে পারে। আবার ভাড়া না বাড়ালে ভ্যাট সমন্বয়ের পর মেট্রোরেলের নিজেদের আয় দিয়ে চলা কঠিন হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের বিষয়টি সামনে এনে মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের কথা বলছে এনবিআর। আইএমএফ বিভিন্ন খাতে করছাড় তুলে নিতে বলছে। মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্তে গত শুক্রবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘হঠাৎ মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর ঘোষণা কে দিল, এ সম্পর্কে কিছু জানি না। সরকারের উচ্চপর্যায়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিলেন, আমি তা জানি না।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, মেট্রোরেলের টিকিটের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করার বিষয়টি এখনো আলোচনাধীন। তাঁরা ভ্যাট বসানোর পক্ষে না। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন তাঁরা। তিনি আশা করছেন, ভ্যাট যুক্ত হবে না। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। ফলে ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আরোপ হতে পারে।