‘ধান ভানতে শিবের গীত’ বলে একটি প্রবচন আছে। তবে এখন আর আগের ধারায় ধান ভানা হয় না। কিন্তু শিবের গীত চলছেই। এবং শিবের গীত যেনো সর্বব্যাপী। পেঁয়াজ-আলু থেকে আন্ডা- কিসে নেই শিবের গীত! শিবের গীতই যেনা আমাদের জাতিগত ধ্যানজ্ঞাণে পরিণত হয়েছে! আর এটি সীমা ছাড়ায় বিভিন্ন ইস্যুতে, বিশেষ করে ঈদের সময়। এ ক্ষেত্রে নাম্বার ওয়ান হচ্ছে সড়ক পরিবহন। প্রতি ঈদের প্রাক্কালেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তারা শিবের গীতে মনোনিবেশ করেন। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কারন এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। আমরা তো ঐতিহ্যপ্রাণ!
টানা ১২ বছর দায়িত্ব পালনকারী সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২১ মার্চ বিআরটিএ’র সদর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্জনের ও উন্নয়নের যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, সেই দেশের রাজধানীতে বাসগুলোর দিকে তাকানো যায় না। মফস্বলের গাড়িও এরচেয়ে অনেক ভালো। এটি আমাদের উন্নয়ন, অর্জনকে লজ্জা দেয়। এসব গাড়ি চলে চোখের সামনে। বাংলাদেশে এখন অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিত্তশালীরা যানজট এড়াতে সাঁই সাঁই করে চলে যায় এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। আর সব মানুষের জন্য আছে মেট্রোরেল। বিশ্বাস করেন, মেট্রোরেলে উঠলে এখনও মাঝে মাঝে বিভ্রম হয়, বাংলাদেশেই আছি তো! কিন্তু মেট্রো থেকে নামলেই, সেই আগের বাংলাদেশ, মেলানো কঠিন। এ যেন বাংলাদেশের ধনী-গরিবের বৈষম্যেরই ছবি।
পরিবহন নেতাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলছেন, লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি বাইরে থেকে সিটিতে আসে। এই সিটিতেই লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির অনেক কারখানা আছে। আমি নিজেও ভিজিট করেছি। দেখেছি রং লাগাচ্ছে। এমন রং, যা ১০ দিন পরে উঠে যায়। রং থাকে না। আমাদের দেশ এত এগিয়ে গেলো, আর আমাদের গাড়ির গরিব চেহারা। রং দিয়ে লাভ নেই, ফিটনেস না থাকলে। এর একটি সমাধান নেতাদের কাছেই আমি চাই। এভাবে চলতে পারে না।’
# ঢাকাটাইমস-এ প্রকাশিত, ১০ এপ্রিল ২০২৪। শিরোনাম, ‘মন্ত্রীর আহাজারি এবং পুলিশপ্রধানের হুঁশিয়ারি’