দখিনের সময় ডেক্স:
সুশান্ত সিংহ রাজপুত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন, তিনি যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর উপায় খুঁজেছিলেন- দেড় মাস তদন্ত চালিয়ে এমনটাই জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর আগে বারবার নিজের নাম গুগল করেন সুশান্ত। যন্ত্রণা সহ্য না করে কিভাবে নিজেকে শেষ করে দেওয়া যায়, ইন্টারনেটে সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজেছিলেন তিনি, এটি পুলিশের বক্তব্য। অনেকে মনে করেন, সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে!
মুম্বাই পুলিশের ভাষ্য, সুশান্তের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তিনি ওষুধও খাচ্ছিলেন। এর আগে সুশান্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন এ অভিনেতার চিকিৎসক। কিন্তু তাঁর পরিবার এবং তাঁর সাবেক বান্ধবী অঙ্কিতা তা মানতে রাজি হননি। বরং প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করে ওই চিকিৎসক রোগীর গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। কিন্তু সুশান্তের চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং সব দিক খতিয়ে দেখে তিনি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছে , দাবী মুম্বাই পুলিশের।
সাংবাদ সম্মেলনে মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিংহ বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কাজের জায়গায় রেষারেষি, টাকা-পয়সার লেনদেন, স্বাস্থ্য- সব দিকই খতিয়ে দেথা হচ্ছে। এ যাবৎ তদন্তে যা উঠে এসেছে, তাতে জানা গেছে, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তার চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ওষুধও খাচ্ছিলেন। তবে কোন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হলো তাঁকে, তা তদন্ত করে দেখছি আমরা- এমনটাই বলছে মুম্বাই পুলি।