দখিনের সময় ডেস্ক:
তীব্র গরমে মানুষের মধ্যেই যে কেবল হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়, তা নয়। একই অবস্থা তৈরি হয় সাপের ক্ষেত্রেও। দাবদাহে বিষাক্ত সাপও সক্রিয় হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বলেছেন, তাপমাত্রা শূন্য দশমিক আট ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়লে সাপের কাটার হার ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পায়। খবর সূত্র: বিবিসি বাংলা।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ বলছে, দেশে বর্তমানে যে দাবদাহ চলছে তাতে সাপের প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশংকা রয়েছে। ২০২৩ এর তুলনায় এবার সাপে কাটার প্রবণতাও বেশি। স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমাদের কাছে আসা এমার্জেন্সি কলের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন আমরা চার পাঁচটি এমার্জেন্সি কল পাচ্ছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যার অধ্যাপক অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, সাপ ঠাণ্ডা রক্তের প্রাণি। গ্রীষ্মকালে সাপ বেশি সক্রিয় থাকে এবং শীতকালে কম সক্রিয় থাকে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের কয়েক সপ্তাহ বাদ দিলে সাধারণত পুরো বছর সাপ সক্রিয় থাকে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বাইরের তাপমাত্রা সাপের শরীরের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে। এর ফলে তাদের আচরণও পরিবর্তন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া এবং কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। এদিকে সাপ তীব্র ঠাণ্ডাও সহ্য পারেনা। তখন তারা হাইবারনেশনে চলে যায় গর্তের ভেতরে। অন্যদিকে, তীব্র গরমও এড়িয়ে চলে সাপ। তাপমাত্রা যখন তীব্র হয় তখন সাপ খুব ভোরে, সন্ধ্যায় এবং রাতে চলাচল করে। তখন তারা খাবারের জন্য সক্রিয় হয়। গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের সময় সাপ ছায়া, অন্ধকার, আর্দ্রতা ও খাবার খোঁজে। সাপ নিজেকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য আর্দ্র পরিবেশ খোঁজে। সেজন্য অনেক সময় তারা মানুষের ঘরের আশপাশে চলে আসতে পারে। যেসব বাসায় এ ধরণের পরিবেশ থাকে সেখানে সাপের আনাগোনা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটাই স্বাভাবিক।