দখিনের সময় ডেস্ক:
তুলতুলে কেক থেকে সুস্বাদু তরকারি পর্যন্ত, এই উপাদান অনেক খাবারেই যোগ করা হয়। বলছি বেকিং সোডার কথা। আমাদের প্রায় সবারই রান্নাঘরের কেবিনেটে বেকিং সোডা থাকে। রান্নাঘরের অন্যান্য উপাদানের মতো বেকিং সোডা নিয়েও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা মিথ এবং ভুল ধারণার প্রচলিত রয়েছে। কেউ এটিকে স্বাস্থ্যকর বলে তো অন্যরা এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বলে।
ভারতের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ অমিতা গাদ্রে তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, বেকিং সোডা কী, স্বাস্থ্যের উপর এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ইতিবাচক প্রভাব: বেকিং সোডা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে এবং পেটের অতিরিক্ত অ্যাসিডকে দূর করতে সাহায্য করে। এটি বুক জ্বালাপোড়া, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বদহজম থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে। বেকিং সোডা খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে না। পুষ্টিবিদ গদ্রে শেয়ার করেছেন যে, আপনি যদি ডালে এক চিমটি বেকিং সোডা যোগ করেন তবে এটি তা দ্রুত সেদ্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।
ক্ষতিকর প্রভাব: যেহেতু বেকিং সোডায় সোডিয়াম বেশি থাকে, তাই এর অত্যধিক ব্যবহার পানি ধরে রাখা, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং কখনও কখনও উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে এমনটাই বলেন পুষ্টিবিদ গাদ্রে। নিয়মিত বেকিং সোডা খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালকালোসিস হতে পারে। অর্থাৎ এটি শরীরের অ্যাসিড-বেস ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে। যা কিছু পেশীর কম্পন, বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে। অল্প সংখ্যক লোকের জন্য বেকিং সোডা হাইপোক্যালেমিয়ার কারণও হতে পারে। অর্থাৎ এটি শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা হ্রাস করতে পারে। পুষ্টিবিদ গদ্রে ভিডিওটি শেষ করেছেন এই বিষয়টির উপর জোর দিয়ে যে বেকিং সোডাকে বিষ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয় এবং মাঝে মাঝে খাবারে অল্প পরিমাণে যোগ করা যেতে পারে।