দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশালে ভূমিদস্যু ও মাদকচক্রের রক্ষক হিসেবে খ্যাত ডিবি ওসি মো: আলমগীর হোসেনের উকেট পতন হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় ওসি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী ইন্সপেক্টর অলমগীরকে এপিবিএন-এ বদলী করা হয়েছে। তবে এতে তার কোন ক্ষোভ নেই বলে জানাগেছে। সূত্রমতে তিনি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পোস্টিং ‘লাভের’ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন । প্রসঙ্গত, পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: আলমগীর হোসেনের অঢেল টাকা রয়েছে। এবং এ কথা তিনি প্রায়ই নিজের মুখেই বলেথাকেন। এমন কি, তিনি এও, রিটার্মেন্টের ৬০/৬৫ লাখ টাকা না পেলে আমার কোন অসুবিধা নেই। আমার একটি ‘খুটি ’ বেচলে দুই কোটি টাকা হবে। শুধু তাই নয়, থানার ওসি থাকাকালে মাসে কোটি টাকা ‘আয়’ করার গল্পও করেন মো: আলমগীর হোসেন।
।
ইত্তেহাদ নিউজ:
ইত্তেহাদ নিউ-এ গত ১ মে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, “ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর মো: আলমগীর হোসেন বেপরোয়া দানবে পরিনত হয়েছেন। ভূমিদস্যু ও মাদকচক্রের রক্ষক হিসেবে তার কর্মকান্ডের বিষয়টি ওপেনসিক্রেট। তার অপকর্মের বাড়াবাড়িতে খোদ পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবিরও বিরক্ত বলে জানাগেছে। এরপরও বহাল তবিয়তে আছেন ডিবি ইন্সপেক্টর মো: আলমগীর হোসেন।
দুর্নীতিবাজ পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: আলমগীর হোসেন বরিশালে যোগদানের পর কেবল নন, তিনি বেপরোয়া বহু আগ থেকেই। পুরো চাকুরী জীবনই তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। তার চাকুরী আছে মাত্র বছর দেড়েক। সূত্রমতে, নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ পর্যন্ত মো: আলমগীর হোসেন তিনটি বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এরপরও রহস্যজনক কারণে তাঁর চাকুরী টিকে আছে। ক্ষতির মধ্যে তিনি প্রমোশন পাননি। তার বেইসমেটরা প্রমোশন পেয়ে এডিশনাল এসপি পর্যন্ত হলেও মো: আলমগীর হোসেন এখনো ইন্সপেক্টর পদেই রয়েগেছেন। এদিকে সূত্র বলছে, প্রমোশন বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টিকে মো: আলমগীর হোসেন মোটেই ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করেন না। কারণ ইন্সপেক্টর থেকে প্রমোশন পেয়ে উপরের দিকে উঠলে কাগুজে সম্মান বাড়লেও অবৈধ টাকা আয় করার সুযোগ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে যায়।
কেবল বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া নয়, দুর্নীতিবাজ পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ সব খবরে বলা হয়েছে, ‘সহিংসতাকে পুঁজি করে ব্যাপক আটক ও গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আলমগীর হোসেনকে আরএমপি থেকে বদলি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।’ ‘বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার প্রাক্তন ওসি আলমগীর হোসেন গোদাগাড়ী থানায় বদলির আদেশ পাওয়ার আগেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।’ ‘অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে আলমগীর বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম করে চলেছেন। আর এ কারণে শত অভিযোগের পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এদিকে জুনের প্রথম সপ্তাহে পবা থানায় যোগদানের পর তার অত্যাচারে থানার এসআই রূহুল আমিন, মেহেদী হাসান, এএসআই উজ্জ্বল ও আমিনুল ইসলামসহ ছয় পুলিশ দরখাস্ত দিয়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
জাগোনিউজ২৪
জাগোনিউজ২৪-এ ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ‘অবশেষে বদলি হলেন বিতর্কিত ওসি আলমগীর’ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, “অবশেষে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার বহুল আলোচিত বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনকে বদলি করা হলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ আসে। আলমগীর হোসেনকে আরএমপি থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে।
সহিংসতাকে পুঁজি করে ব্যাপক আটক ও গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আলমগীর হোসেনকে আরএমপি থেকে বদলি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে যুগান্তরের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আনু মোস্তফা, দৈনিক প্রথম আলোর আলোকচিত্রী শহীদুল ইসলাম ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ক্যামেরা পারসন রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর সর্বস্তরের সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে আরএমপির উপকমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী ওসি আলমগীরের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, ওসি আলমগীরকে বদলির আদেশ তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তাকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
রাইজিংবিডি.কম
রাইজিংবিডি.কম-এ ২০১৫ সালের ৬ মে প্রকাশিত ‘বদলির আগেই মাদক চক্রের সঙ্গে ওসি আলমগীরের বৈঠক’ শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে, “বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার প্রাক্তন ওসি আলমগীর হোসেন গোদাগাড়ী থানায় বদলির আদেশ পাওয়ার আগেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওসি আলমগীর হোসেন গত দুদিনে তাদের জেলা পুলিশ অফিসে ডেকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, গোদাগাড়ী থানা পুলিশ এক সময় নিয়ন্ত্রণকারী মহিষালবাড়ী এলাকার একজন দালাল ও মাদক ব্যবসায়ী মঙ্গলবার পুলিশ ক্যান্টিন এলাকায় আলোচিত ওসি আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গোদাগাড়ী থানার বর্তমান ওসিকে কিভাবে দ্রুত বিদায় করা যায় এসব বিষয়ে উভয়ের মধ্যে মতবিনিময় হয়। বর্তমান ওসিকে গোদাগাড়ী ছাড়া করতে যত টাকার প্রয়োজন তা ওই দালাল জোগান দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন।”
রাইজংবিডি.কম
রাইজংবিডি.কম-এ ২০১৫ সালের ৭ জুলাই ‘বিচারকের নামে ওসির ব্যতিক্রম জিডি’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, “ রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ওসি থাকাকালে আলমগীর হোসেন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলকভাবে করেছিলেন নাশকতার একাধিক মামলা। সেই আলোচিত ওসি আলমগীর এবার রাজশাহীর একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে পবা থানায় জিডি করেছেন। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে বিচারিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আইনজীবীরা এই ঘটনাকে নজীরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রেকর্ড না করে এক মাসের বেশি সময় ফেলে রাখায় আদালত পবা থানার ওসি আলমগীরকে তলব করেছিলেন। ওসি আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন দায়িত্বে অবহেলার কারণে। কিন্তু তার আগেই থানায় জিডি করে সেই জিডির কপি পুলিশ সদর সার্কেল ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেন বোয়ালিয়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকাকালীন রাজশাহীর তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলকভাবে নাশকতার একাধিক মামলা দায়ের করলে সাংবাদিকরা তার অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে।
অবশেষে গত ২৭ মে তাকে আরএমপি থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। পরে তাকে পবা থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়। এর আগে ২০১২ সালে অন্যের জমি দখল করতে গিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েন ওসি আলমগীর। আদালতের নির্দেশে ওই সময় তাকে বোয়ালিয়া থানা থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।
গত জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত চলা সহিংসতার সময় ব্যাপক গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে আলমগীরের বিরুদ্ধে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কিন্তু তারপরও আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে আলমগীর বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম করে চলেছেন। আর এ কারণে শত অভিযোগের পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এদিকে জুনের প্রথম সপ্তাহে পবা থানায় যোগদানের পর তার অত্যাচারে থানার এসআই রূহুল আমিন, মেহেদী হাসান, এএসআই উজ্জ্বল ও আমিনুল ইসলামসহ ছয় পুলিশ দরখাস্ত দিয়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।”
জাগোনিউজ২৪.কম
জাগোনিউজ২৪.কম এ ২০১৫ সালের ৮ জুলাই প্রকাশিত ‘এবার সেই ওসির বিরুদ্ধে মামলা করলেন বিচারক’ শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে, “রাজশাহীর পবা থানার বিতর্কিত সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এবার মামলা দায়ের করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার দুপুরে রাজশাহীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের (নম্বর-৫) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ এই মামলাটি দায়ের করেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৯০ (১) ক্ষমতাবলে মামলাটি করেন তিনি।
ওই মামলার আদেশ প্রাপ্তির পর এক ঘণ্টার মধ্যে গত ০৩/০৭/২০১৫ ও ০৪/০৭/২০১৫ তারিখে থানায় ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সাধারণ ডায়েরির অনুলিপি ও সাধারণ ডায়েরির রেজিস্ট্রারসহ স্বয়ং ওসি আলমগীর অথবা তার মনোনীত উপ-পরিদর্শক পদমর্যদার নিম্নে নয়, এমন একজন দায়িত্বশীল পুলিশকর্মকর্তার মাধ্যমে তা আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাখিল শেষে এক ঘণ্টার মধ্যে আবার তা সংশ্লিষ্ট থানা বরাবর ফেরত পাঠাতে হবে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ মামলায় উল্লেখ করেন, বুধবার সকাল ৯টায় তিনি স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সূত্র ধরে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যসহ আদালতের বিচারিক কার্য ধারার জন্য অবমাননাকর বক্তব্য উল্লেখে পবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন পবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এর প্রেক্ষিত বিবেচনায় আদালত মনে করেন যে, ওসি আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের দায় থেকে মুক্তি লাভের জন্য এবং তার কৃত আইন বিধি পরিপন্থী কাজের প্রেক্ষিতে তার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কছে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সম্পূর্ণরূপে অসৎ উদ্দেশ্য সূত্রে বর্ণিত মতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের (আদালতের বিচারক) ও বিচারিক বৈধ কার্যধারার বিরুদ্ধে মনগড়া, ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, মিথ্যা, এখতিয়ার ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং বেআইনিভাবে অবমাননাকর ও মিথ্যা বক্তব্য উল্লেখে সাধারণ ডায়েরি করে থাকলে তা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উপরোক্ত আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের আলোকে উক্ত সাধারণ ডায়েরিতে ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের বিচারিক বৈধ কার্যধারা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে কীনা তা যাচাই করার নিমিত্তেও গত ০৩/০৭/২০১৫ ও ০৪/০৭/২০১৫ তারিখে থানায় দাখিলকৃত সাধারণ ডায়েরির অনুলিপিসহ ও সাধারণ ডায়েরির রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা আবশ্যক।
প্রসঙ্গত, আদালতে দায়েরকৃত একটি বিচারিক মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পবা থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড না করার জন্য গত ৩ জুলাই ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ ওসি আলমগীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। সেইসঙ্গে অনুলিপি দেন ডিআইজি, এসপি ও এসপি সার্কেলকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই রাজশাহীর পবা থানার ওসি আলমগীর ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহর বিরুদ্ধে পবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং-১১৯ তাং-৩/৭/২০১৫।
একুশে টেলিভিশন
একুশে টেলিভিশনের অনলাইন ভার্সনে ২০২০ সালের ২২ মার্চ প্রকাশিত ‘চার মাসের মাথায় লোহাগড়া থানার ওসিকে বদলি’ শিরোনামের সংবাদে বলা হয়েছে, “নানা অভিযোগের মুখে চার মাসের মাথায় বদলি করা হয়েছে নড়াইলের লোহাগড়া থানার ওসি আলমগীর হোসেনকে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে শনিবার (২১ মার্চ) বিকেলে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) জানান, ‘প্রশাসনিক কাজে অবহেলার কারণে লোহাগড়া থানার ওসি আলমগীর হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।’সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর হোসেন গত বছরের ২৩ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।”
দেশজনপদ
বরিশাল থেকে প্রকাশিত সাহসী পত্রিকা দৈনিক দেশজনপদ-এ ২৮ জানুয়ারি লেখা হয়েছে, ইন্সপেক্টর আলমগীরের তোলাবানিজ্যে বাড়ছে অপরাধ।