Home শীর্ষ খবর সারাদেশ যেন বেনজীরময় হয়ে গেছে

সারাদেশ যেন বেনজীরময় হয়ে গেছে

আলোচনার তুঙ্গে ওঠা নজিরবিহীন বেনজীর অতি সম্প্রতি আবার আলোচনায় এসেছেন। অবশ্য বেনজীর আহমেদ চাকরি জীবনের প্রায় আধা সময়ধরে আলোচনায় ছিলেন। আলোচনার কেন্দ্রে চলে যান শাপলা চত্বরে হেফাজতের রহস্যজক সমাবেশকে অপসারণের সাফল্যকে কেন্দ্র করে। তখন তিনি র‌্যাবের ডিজি। এরপর থেকে আলোচনা তাকে আর পিছু ছাড়েনি। এমনকি আইজিপির পদ থেকে বিদায়কালেও তিনি আলোচনা-সমালোচনার বোঝা মাথায় নিয়ে গেছেন। আর এই আলোচনার বোঝার নিচে তার চাপা পড়ার দশা হয়েছে। তাকে নিয়ে আলোচনার প্লাবনে সারাদেশ যেন বেনজীরময় হয়ে গেছে। ভাবখানা এই, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে জাতি জেগেছে, দেশে আর কোনো সমস্যা নেই। যেন, রিমেল দেশের একটি বিশাল অংশকে লন্ডভন্ড করে দেয়নি। বিপুল সংখ্যক কৃষকরা হয়নি সর্বহারা। এসব নিয়ে মৃদু আলোচনা স্বল্প সময়ের মধ্যেই যেন থিতিয়ে গেছে, ছাইচাপা আগুনের মতো। অথবা লজ্জাবতী গুল্ম।
নজিরবিহীন বেনজীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে মানুষ যা ভেবেছিল তার উল্টোটা ভাবছে এখন। এবং এর বিরূপ প্রভাব নিয়েও ভাবা হচ্ছে। পুরো পুলিশ বাহিনীই যেন বেনজীরের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। এ ইস্যুতে দুই রকম বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। শুদ্ধতার তাগিদ এবং অন্যরকম আকাঙ্ক্ষা লাইমলাইটে চলে এসেছিল। আর এখন কোনোকোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, “আরে দূর, সবই হচ্ছে আইওয়াশ, পুলিশ যেমন ছিল তেমনই থাকবে!” সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনী যেন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এমনকি হিটঅ্যালার্ট চলাকালে রাস্তায় দাঁয়িড়ে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যের প্রতিও ঘৃণা প্রকাশ করার অবাঞ্ছিত প্রবণতা দেখা গেছে তখন। পাবলিক পারসেপশন সৃষ্টি হয়েছিল, পুলিশ মানেই খারাপ, ঘৃণার কেন্দ্র। কিন্তু বাস্তবতা তো মোটেই তা নয়।
পুলিশে দক্ষতা-সততা-মানবিকতার অসংখ্য উদাহরণ আছে। এর কিছু আছে জনতার জানার বাইরে, কিছু আছে অতি প্রকাশ্যে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পুলিশ বহিনীর মহান ভূমিকা আলোচনার বাইরে রাখলেও অনেক ঘটনা আছে যা হয়তো প্রমাণ করে, পুলিশ আসলেই জনতার। বিশেষ করে, করোনাকালে আক্রান্ত জননীকে ছেড়ে যখন পালিয়েছে অনেক প্রিয় সন্তান, জানাজায়ও শরিক হতে চায়নি। অনেক চিকিৎসক ছুটেছেন উল্টো দিকে, যেন ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা!’ সেই সময় পুলিশ কিন্তু মাঠে ছিল, ছিল মানুষের প্রয়োজনে। এই অবস্থা জনতার জানা। কিন্তু জনতা যা জানে না, তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে, ‘ধরা পড়লে জামিন নেই’- প্রবচনের মতো অপরাধের ঘটনা ধরা পড়লে বিভাগীয় কাঠামোর মধ্যেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি। এই ধারার এতোটা কিন্তু নেই সরকারের অন্যকোনো চাকরিতে। অবশ্য দেশ রক্ষা বাহিনীর বিষয়টি আলাদা। সেখানে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অনেক কঠোর।
# ঢাকাটাইমস-এ প্রকাশিত, ২৩ জুন ২০২৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল

দখিনের সময় ডেস্ক: এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমেরিকান-ইহুদি কিশোর (১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী) 'আমি হামাসের সাথে সহানুভূতিসম্পন্ন'- এমন বক্তব্যের সাথে একমত। ইসরাইলের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে...

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকার

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতিদিন কলা খেলে মেলে অনেক উপকার। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন। যে কারণে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি...

মোহিনীর প্রেমের এআর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বলছেন পুত্র

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে এআর রহমান। সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যের অবসান। বুধবার রাতে রহমানের স্ত্রী সায়রার আইনজীবী এই খবর...

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

Recent Comments