• ১২ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা হয়েছে সব ধর্মেই

দখিনের সময়
প্রকাশিত জুলাই ১১, ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা হয়েছে সব ধর্মেই
সংবাদটি শেয়ার করুন...
অবশ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা নতুন কিছু নয়, আদিকাল থেকেই বলা হচ্ছে। বলা হয়েছে সব ধর্মেই। ইসলাম, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা আছে। ইসলাম ধর্মে অবৈধ উপার্জনকে হারাম বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোরআন এবং হাদিসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। কোরআনের একাধিক সুরায় আল্লাহ অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন না করার  নির্দেশ দিয়েছেন। যা মেনে চলা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। কোরআনে সুরা নিসার ২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘হে মুমিনগণ, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তোমাদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না।’ একই বিষয়ে বলা হয়েছে সুরা বাকারার ১৮৮ নম্বর আয়াতে। সুরা বাকারার ১৬৮ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে- ‘হে মানবকুল! তোমরা পৃথিবীতে হালাল ও পবিত্র বস্তু ভোগ করো।’
হিন্দু ধর্মে অবৈধ আয়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেদের অন্যতম জ্ঞানকান্ডউপনিষদের প্রথম মন্ত্রেই সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে- ‘কারও সম্পদে লোভ করা যাবে না এবং ত্যাগের সঙ্গে ভোগ করতে হবে।’ বেদ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের অন্যান্য গ্রন্থেও এ বিষয়ে নানান নির্দেশনা, এমনকি শাস্তির ব্যাপারেও বলা আছে। বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট ধর্মেও অবৈধ আয়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মে যে পঞ্চশীল বা পাঁচটি অবশ্য পালনীয় নীতির কথা বলা হয়েছে সেগুলোর একটি হচ্ছে- ‘অদত্ত বস্তু গ্রহণ থেকে বিরত থাকা’। অর্থাৎ যা প্রাপ্য নয় বা যা অর্জন করা হয়নি, সেটি নেওয়া বা ভোগ করা যাবে না। যেসব কাজ অবৈধ বা যাতে কোনো মানুষ বা অন্যান্য জীবের ক্ষতি হয়, সেগুলোর সবই বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
খ্রিস্ট ধর্মে অবৈধ উপার্জনকে সমর্থন করে না। বাইবেলের আদি পুস্তকের বরাত দিয়ে পন্ডিতরা বলেছেন, ঘুষের বিষয়ে সতর্ক করে সৃষ্টিকর্তা আদেশ দিয়েছেন, ‘এবং তুমি কোনো উপহার গ্রহণ করবে না। কারণ উপহার জ্ঞানীদের অন্ধ করে দেয়।’ এটাও বলা হয়েছে যে, অর্থ-সম্পদের প্রতি ভালোবাসা অনেক অকল্যাণের মূল। কিন্তু এসব ধর্ম কথার প্রভাব কতটুকু? প্রবচনই তো আছে, চোরা শোনে না ধর্মের কাহিনি! বিরাজমান বাস্তবতাও তাই।
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত, ৮ জুলাই ২০২৪। শিরোনাম ‘দুর্নীতিবাজরা যেন ছাড় না পায়’